পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা পুরভোটে নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। আজ বিকেলে রাজ্যপালকে রিপোর্ট জমা দেবে নির্বাচন কমিশন। বাহিনী নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ভোট নিরাপত্তা নিয়ে গতকালই কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভা ভোট। রাজ্যে অন্যান্য পুরসভার ভোট নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি। ছয় থেকে আট দফায় বাকি পুরভোট চায় রাজ্য। করোনা সংক্রমণের জেরে রাজ্যের প্রায় ১১৩টি পুর এলাকায় ভোট হয়নি। বর্তমানে সেই সংক্রমণের হার কমেছে– তাই ভোট করাতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরনিগমের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচারও চলেছে জোরকদমে।
করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে কয়েক দফায় ভোট করার কথাও জানিয়েছে কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে– তারা আগামী মে মাসের মধ্যে পুরভোট করাতে প্রস্তুত। কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমে একসঙ্গে ভোট করার কথা জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে হাওড়া থেকে বালি পুর এলাকাকে পৃথক করা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। রাজ্যপাল বিধানসভায় পাস হওয়া বিল আটকে দিয়েছেন। তাই শুধুমাত্র কলকাতায় ভোট হচ্ছে। এদিকে সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার দাবি তোলে বিজেপি। বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। বিজেপি আরও দাবি করেছিল, একসঙ্গে পুরভোট না হলেও, একদিনে গণনা করতে হবে।
বিজেপির করা মামলা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির ভোট নিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মতামত জানতে চেয়েছিলেন। তার জন্য হলফনামা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি। তার প্রেক্ষিতেই এদিন হলফনামা জমা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, তারা ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যেই বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট করাতে প্রস্তুত। করোনা পরিস্থিতিতে ভোটারদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ৬ থেকে ৮ দফায় ভোট হবে।
করোনা সংক্রমণের কথা ভেবে, মানুষের ভিড় এড়াতে ৬ থেকে ৮ দফায় ভোটের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এখন দেখার রাজ্য প্রশাসন কী করবে বা কোর্ট কি নির্দেশ দেয়। এর আগে কমিশন জানিয়েছিল, একসঙ্গে ভোট করার জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত ইভিএম নেই।