পুবের কলম প্রতিবেদক: কাশ্মীরে হিন্দু পন্ডিতদের নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেছে হিন্দি সিনেমা ‘কাশ্মীর ফাইলস’। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, আধা সত্য দেখানো হয়েছে সিনেমাটিতে।
আর এর জেরেই বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি শুরু হয়। সেই অশান্তির আঁচ যাতে পশ্চিমবঙ্গে না পরে তার জন্য সব ধর্ম নির্বিশেষে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান করেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশনের অন্যতম অরুণজ্যোতি ভিক্ষু। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই শান্তির কথা তুলে ধরেন তিনি।
অরুণজ্যোতি ভিক্ষুর কথায়, ‘’কোথাও ধর্মকে হাতিয়ার করে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যা রাজনৈতিক হিংসায় পরিণত হয়েছে। যাঁরা এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। খোদ প্রধানমন্ত্রীও এই সিনেমার প্রশংসা করেছেন। এর আগে অন্য কোনও সিনেমার প্রশংসা করতে দেখা যায়নি তাঁকে।’’ তাঁর কথায়, এই দিকগুলো দেখলেই বোঝা যায় এই সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে যে হিংসার উস্কানি দিয়েছে তাতে কোন রাজনৈতিক দলের হাত আছে।’’
এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে তবে কি সিনেমাটিকে ব্যান করার দাবি রাখছেন তাঁরা? এ বিষয়ে ইসলাম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শেখ আলিমুদ্দিন বলেন, সিনেমা ব্যান করার দাবি রাখছেন তাঁরা। তবে সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের অনুরোধ সিনেমাটিকে যেন সিনেমা হিসেবেই দেখা হয়। তবে তাঁর বক্তব্য, সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের উস্কানিতেই যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হয়েছে তা স্পষ্ট। এদিন গোটা বিষয়টা নিয়ে বিজেপির নাম না করেই কার্যত এই রাজনৈতিক হিংসার জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু কমিশন। শেখ আলিমুদ্দিনের বক্তব্য, ১৯৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি কাশ্মীর থেকে উৎখাত হতে হয়েছিল পণ্ডিত ব্রাহ্মণদের একথা যেমন সত্য। একইসঙ্গে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও বহু বিধর্মীসম্প্রদায়কেও বিপদের মুখে পড়তে হয়েছিল। সবথেকে বড় কথা যখন কাশিম থেকে হিন্দু পন্ডিতদের উৎখাত করা হয়েছিল তখন জম্মু-কাশ্মীরে নতুন রাজ্যপাল তখন জগমোহন মালহোত্রা। তাঁর আমলেই হল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উচ্ছেদ। তাহলে সেই সময় ওই উচ্ছেদকে না রুখে আজ করুনা দেখানোর চেষ্টা চলছে সেই প্রশ্ন তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে গোটা বিষয়টা দাঙ্গা লাগানোর একটা প্রয়াস বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।