পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আসন্ন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে শাসক-বিরোধী দুই দলই। এই আবহে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘সহিংসতা’র ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস এবং দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নিশানা করলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ পুরোপুরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে দিওয়ালি। এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে নিজের মতো করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা দুষ্কৃতীদের হাতে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। চলছে দেদার লুটপাট। সংশ্লিষ্ট ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের ‘ব্যর্থতা’কে দায়ী করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর প্রাতিদ্বন্দ্বী তথা বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টকে নিশানা করে ট্রাম্পের মন্তব্য, কমলা হ্যারিস হিন্দুদের উপেক্ষা করেছেন। আমি ক্ষমতায় এলে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতে দেব না।
আমেরিকা তো বটেই, গোটা বিশ্বের হিন্দুদের নিয়ে কোনও দিনই কিছু ভাবেননি কমলা হ্যারিস, জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, ইসরাইল থেকে শুরু করে ইউক্রেন ইস্যুতেও তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন বলে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। যদিও এই বিষয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ শাখার অন্যতম সংগঠক গোবিন্দ প্রামাণিক।
তিনি বলেছিলেন, নতুন সরকার আসার পর বাংলাদেশের হিন্দু সহ সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। খুশিতে আছেন। যা হামলার ঘটনা ঘটেছিল মূলত আওয়ামি লীগের নেতাদের ওপর, যাঁদের কেউ কেউ সনাতন ধর্মের। সাধারণ হিন্দুদের ওপর হামলা হয়নি। তবে ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতারা গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের ক্ষতি করছে।
তিনি আরও বলেছিলেন,মন্দির , গির্জা, প্যাগডা ভাঙা তো দূরের কথা জামাত-বিএনপি বা সাধারন মুসল্লিরা অশান্তির সময়ে তা পাহাড়া দিয়েছেন। তবে কিছু দুষ্কৃতী কোনও ঘটনা ঘটালে তার দায় বাকিরা নেবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি শাসনামলে ভারতে সংখ্যালঘু অত্যাচার আকাশ ছুঁয়েছে। মসজিদ, গির্জা ভাঙা রুটিনে পরিণত হয়েছে। অথচ কোনওদিন টুঁ শব্দ করেননি ট্রাম্প।