পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হল নবান্নে। বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন, ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক, বিশিষ্ট চিকিৎসকরা সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের সুপার ও অধ্যক্ষরা।
> জুনিয়র চিকিৎসক: মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজেদের ১০ দফা দাবি পেশ করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। টাস্ক ফোর্সে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখার দাবি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কলেজগুলোতে একটি মনিটরিং কমিটি চায় জুনিয়র ডাক্তাররা। থাকবেন অন্যান্যরাও।
> জুনিয়র চিকিৎসক: কলেজ স্তরে মনিটরিং কমিটিতে ছাত্রদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। সমস্ত কমিটিতেই রাখতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচন প্রতিনিধিদের।
> জুনিয়র চিকিৎসক: আমাদের প্রথম দাবি নিহত খুনের চিকিৎসকের ন্যায় বিচার
> মুখ্যমন্ত্রী: আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পেপার্স দিয়ে দিয়েছি। আমরাও চাই এটা তাড়াতাড়ি হোক
> জুনিয়র চিকিৎসক: প্রতিবছর আরডিএ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি আন্দোলনকারীদের। কলেজস্তরে গ্রিভান্স সেল তৈরির দাবিও তাঁরা। স্টেক হোল্ডার সমিতি, রোগী কল্যাণ সমিতির কাজ কী, দায়িত্ব কী, তার বিস্তারিত জানতে চাইলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
> জুনিয়র চিকিৎসক: বৈঠকে দেবাশিসের মুখে উঠল ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই থামিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
> মুখ্যমন্ত্রী: ‘‘উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়।’’
> জুনিয়র চিকিৎসক: ‘‘আরজি করের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, তা দেখা হোক। মেয়েদের নিরাপত্তার জায়গাটা দেখা হোক।’’
> জুনিয়র চিকিৎসক: ‘‘স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।’’
> মুখ্যমন্ত্রী: ‘‘একটা মানুষ অভিযুক্ত কি না, প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।’’ মমতা বলেন, নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ বাদে বাকি কথা শুনবেন তিনি।
> মুখ্যমন্ত্রী: বৈঠকের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের চা খেতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
> মুখ্যসচিব: ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে যাতে নিরাপদ পরিবেশ থাকে, তারাও সেটাই চান। ইতিমধ্যেই রাজ্য টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে বলেও জানালেন তিনি।
> মুখ্যসচিব: রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য।
> মুখ্যমন্ত্রী: ‘‘অনেক অধ্যক্ষ, সুপার নিজেদের কাজ করেন না। তোমাদের সঙ্গে আমি একমত। তাঁরা রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন।’’
> মুখ্যমন্ত্রী: অভিযোগ খতিয়ে না দেখিয়ে সাসপেন্ড করা কেন? প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আর জি করের প্রিন্সিপাল ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন। কিন্তু কেন? কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না? এটা থ্রেট কালচার নয়?’’
> জুনিয়র চিকিৎসক: অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
> মুখ্যমন্ত্রী: কেন্দ্রের থেকে টাকা মেলে না। তার পরেও রাজ্যের হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
> মুখ্যমন্ত্রী: ‘‘আগে ডাক্তারের সংখ্যা ছিল চার হাজার। আমরা এসে তা বৃদ্ধি করে ১৭ হাজার করেছি। ৩৫টি মেডিক্যাল কলেজ করেছি। পেডিয়াট্রিক বিভাগ প্রায় ৬০০। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। ওগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। সেখানে সব চিকিৎসক দিলে হাসপাতাল চলবে কী করে?’’
> মুখ্যমন্ত্রী: রোগী কল্যাণ সমিতিতেও থাকবে জুনিয়র ডাক্তাররা। জেলায় জেলায় গ্রিভ্যান্স সেল হওয়া উচিত বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
> মুখ্যমন্ত্রী: আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ খোঁজ নেয়নি। কিন্তু আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়ে অনশনের খবর নিয়েছি। রোজ নিয়মিত রিপোর্ট নিই।
> জুনিয়র চিকিৎসক: টাস্ক ফোর্স কী কাজ করছে, তার সদস্য কত জন, তা নিয়ে কিছু তাঁরা জানেন না।
> জুনিয়র চিকিৎসক: টাস্ক ফোর্সে সব মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিত্ব থাকা প্রয়োজন।
> মুখ্যমন্ত্রী: একদিনে সমস্ত দাবি পূরণ সম্ভব নয়। এর জন্য সময় ও টাকা, দুটোই প্রয়োজন। তবে ধাপে ধাপে দাবি পূরণ হবে।
> মুখ্যমন্ত্রী: চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকারের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় বলেও জানালেন মমতা।
1 Comment
Pingback: মাদ্রাসাগুলিকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করা চলবে না, সুপ্রিম স্থগিতাদেশ