সেখ কুতুবউদ্দিনঃ আইআইটির পর প্রযুক্তির ছাত্রছাত্রীদের চাকরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে এ রাজ্যের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে রয়েছে যাদবপুর, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা পরিস্থিতিতেও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বহু ছাত্রছাত্রী বহুজাতিক সংস্থা সহ সরকারিতে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরিতে যুক্ত হচ্ছেন।
করোনা কালের জন্য ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসিং চলছে অনলাইনে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক ৫৮ লক্ষ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লক্ষ টাকা প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী। গত বছর যাঁরা পাশ করেছেন, অথচ চাকরি পাননি এবং এ বছর যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদের নিয়ে ক্যাম্পাসিং চলছে অনলাইনে।
যাদবপুরের প্লেসমেন্ট বিভাগ জানিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে যাঁরা পাশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিন জন ৫৮ লক্ষ টাকা বার্ষিক প্যাকেজে চাকরি পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রযুক্তি সংস্থা তাদের ভারতের অফিসের জন্য কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের তিন পড়ুয়াকে বাছাই করা হয়েছে। চলতি বছরে যাঁরা পাশ করবেন, তাঁদের ক্যাম্পাসিংয়ের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪৬ জন ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক প্যাকেজের চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। ৩২ জন পেয়েছে ১৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার বার্ষিক প্যাকেজে। তবে সব বড় সংস্থা এখনও আসেনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, করোনা আবহেও ৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী চাকরি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও নামী সংস্থা তাঁদের যোগ্য মনে করে বেছে নিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কাছে এটা, গর্বের বিষয়।
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান, ২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পড়ুয়া মোটা অঙ্কের বেতনে বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থায় সরকারি ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা একটা জায়গা করে নিচ্ছে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তির ছাত্রছাত্রীরা ৬০ শতাংশের উপর চাকরি পেয়েছে। অন্য বছরের থেকে প্লেসমেন্টের হার বেশি এ বছর। বেশিরভাগ পড়ুয়া আইটি কোম্পানিতে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি পেয়েছেন।
২০২২ সালের উত্তীর্ণ হবে এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য ইতিমধ্যে ৩০টি কোম্পানিকে নিয়ে ক্যাম্পাসিং করানো হয়েছে। এখান থেকেও অনেকে চাকরি পাচ্ছেন। এই প্রক্রিয়া এখনও চলছে। আগামীতে ক্যাম্পাসিংয়ের হার আরও বাড়বে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে করোনা কালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস চালু রয়েছে। ক্যাম্পাসিংও অনলাইনে হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় ‘খুললে পড়ুয়াদের নিয়ে ক্যাম্পাসিং সংক্রান্ত আরও কিছু ট্রেনিং পড়ুয়াদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা।’
এদিকে ছাত্রছাত্রীদের ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য সশরীরে ক্লাস না চালু হলেও অনলাইনে ক্লাস চলছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসিংয়ের প্রস্তুতির জন্য স্কীর ডেভেলাপমেন্ট সহ একাধিক কোর্স চালু করেছে।