পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং-ভারত চিন সীমান্তে দুই পক্ষের অন্যতম সংঘর্ষের দুই জায়গা। শুক্রবার সকাল থেকে কৌশলগতভাবে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলো ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এই খবর জানিয়েছে। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের এই দুই এলাকা থেকে ভারত ও চিনের সেনাদের প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২৮-২৯ অক্টোবরের মধ্যে ভারত ও চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কিছু এলাকায় সেনা সরানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, শুক্রবার সকালেই এই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি সরিয়ে নিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনাও সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে।
দুই দেশের মধ্য়ে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল আগেই। সীমান্তে ২০২০ সালে দুই দেশের সেনার মধ্য়ে একটি সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছিল। তারা জেরে মৃত্যুর ঘটনাও হয়েছিল। তারপর বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
সেনা সূত্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, ডেপসাং ও ডেমচকের ক্ষেত্রে এই নতুন চুক্তি কার্যকরী হবে। এটা অন্য কোনও জায়গার জন্য প্রযোজ্য নয়। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে যে ধরনের পরিস্থিতি ছিল সেরকম পরিস্থিতি ফের তৈরি হতে পারে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে সমস্ত জায়গায় টহলদারি করা হত সেই পর্যন্ত টহলদারি হতে পারে এবার।
জানা গেছে, গ্রাউন্ড কমান্ডারদের মধ্যে মিটিং নিয়মিত চলছে। পেট্রলিংয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বাহিনীকে নিয়োজিত করা হচ্ছে। আমরা যে কোনও ধরনের মিস কমিউনিকেশনকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। যে কোনও ধরনের অস্থায়ী পরিকাঠামো যেমন ছাউনি, তাঁবু, সেনার অস্থায়ী কাঠামো সরিয়ে ফেলা হবে। দুই পক্ষই গোটা এলাকার উপর নজর রাখবে। এপ্রিল ২০২০ সালের আগে ডেপসাং ও ডেমচক এই পয়েন্ট পর্যন্ট টহলদারি চলত।
এদিকে সাম্প্রতিক সীমান্ত চুক্তির বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্র। তিনি জানিয়েছিলেন কূটনৈতিক ও সামরিক বোঝাপড়া গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিশেষত ডেপসাং সমতল এলাকা ও ডেমচক এলাকায় এই পেট্রলিং চলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই চুক্তির আওতায় একদিকে যেমন টহলদারির বিষয়টি রয়েছে। তেমনি এই চুক্তির আওতায় পশু পালনের অধিকার রক্ষার বিষয়টিও রয়েছে। যেটা ২০২০ সালের মে মাসের আগে পর্যন্ত ছিল ওই সব পয়েন্টে।
এই চুক্তিকে ভারত ও চিনের সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ব্যাপারে একটা অন্যতম পদক্ষেপ বলে মনে করা হয়। এদিকে ২০২০ সালের পর থেকে সীমান্ত সংঘর্ষের জেরে এই পরিস্থিতির অবনমন হয়েছিল। এবার ফের স্বাভাবিক হতে পারে সেই পরিস্থিতি। কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে পারে এবার।
1 Comment
Pingback: নিয়োগ দূর্নীতি মামলাঃ ধৃত প্রসন্ন রায়ের ১৬৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি - PuberKalom.com