নয়াদিল্লি 10 নভেম্বর: সউদি আরবের মদিনার নববীর মসজিদের ইমাম ও প্রচারক শেখ ডক্টর আবদুল্লাহ বিন আব্দুল রহমান আল বুয়াজান ভারতে আট দিনের সফরে এসেছেন। আল বুয়াজান সউদি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসেছেন। ইসলামিক বিষয়াবলী, দাওয়াহ এর কর্মসূচিতে তার ভারতে আসা।গত 8 নভেম্বর তিনি ভারতে এসে পৌঁছান।
আগমনের পর তাকে এবং তার প্রতিনিধি দলকে ভারতে দুটি পবিত্র মসজিদের কাস্টডিয়ান দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স জাদ্দি বিন নায়েফ আল-রাক্কাস স্বাগত জানান। আল বুয়াজান 35 তম সর্বভারতীয় আহলে-ই-হাদিস সম্মলনে যোগ দিতে ঐতিহাসিক রাম লীলা ময়দানে 9 নভেম্বর শনিবার উপস্থিত ছিলেন। 10 নভেম্বর রবিবারেও সম্মেলনে তিনি উপস্থিত থাকবেন। নয়াদিল্লির তুর্কমান গেট এলাকায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এছাড়াও মঙ্গলবার, 12 নভেম্বর কেরালার কোঝিকোড়ের কাদাপুরমে একটি শান্তি সম্মেলনে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে৷ মদিনার নববীর মসজিদের ইমাম ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করবেন। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় আহলুল হাদিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান শেখ আসগর আলি ইমাম মাহদি আল-সালাফি এবং কেরালার কোচিনের অন্যান্য আলেমরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।মদিনার পবিত্র মসজিদের ইমামদের পরিদর্শন কর্মসূচির লক্ষ্য হল ইসলামের মধ্যপন্থা ও ভারসাম্যকে উন্নীত করা।
মসজিদে নববী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ আঃ)কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মসজিদ যা বর্তমান সউদি আরবের মদিনায় অবস্থিত। গুরুত্বের দিক থেকে মসজিদুল হারামের পর মসজিদে নববীর স্থান। হযরত মুহাম্মাদ সা. হিজরত করে মদিনায় আসার পর এই মসজিদ নির্মিত হয়।
হযরত মুহাম্মাদ সা.এর বাসগৃহের পাশে এই মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মসজিদের নির্মাণকাজে অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় মসজিদ সম্মিলনস্থল, আদালত ও মাদ্রাসা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পরবর্তীকালের মুসলিম শাসকরা মসজিদ সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন করেছেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে আরব উপদ্বীপের মধ্যে এখানেই সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়।মসজিদ খাদেমুল হারামাইন শরিফাইনের নিয়ন্ত্রণে থাকে। মসজিদ ঐতিহ্যগতভাবে মদিনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। মসজিদে নববী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হএয়ায় হজের সময়ে আগত হাজিরা হজের আগে বা পরে মদিনায় অবস্থান করেন।