পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার থেকে কলকাতার পাঁচটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দেখা হবে কয়েকটি বেড কী ভাবে রেফারেন্স সিস্টেমে কাজ করে।
তবে এখনই সবকটি মেডিক্যাল কলেজে ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। সাধারণত প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কলেজের এমার্জেন্সি বিভাগের পাশেই এই ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো থাকবে, যেখানে কোনও হাসপাতালে কত বেড খালি আছে সেটা জানা যাবে। অনেক সময় কেউ যদি ভেঙে দেয় অথবা বোর্ড খুলে নিয়ে যায় তবে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কোডাকার কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ৬ বস্তা টাকা বিজেপির নির্বাচনী তহবিলে ব্যবহার হয়েছে: প্রাক্তন বিজেপি নেতা
ষষ্ঠদ্বশ অর্থ কমিশনের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অনুদান পেতে ন্যাশানাল হেল্থ মিশন জেলাশাসকদের পরিকাঠামোগত বাজেট প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনেই স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কনসালটেশন রুম, বিশ্রাম কক্ষ, শৌচালয়, অপারেশন থিয়েটর, লিফট, হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা প্রতিবন্ধী ও প্রবীনদের জন্য উপযুক্ত র্যাম্প ও অন্যান্য সুবিধার জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকার কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারের পাশাপাশি সেন্ট্রাল রেফারেল ইউনিটের পরিকাঠামো তৈরির জন্য উপযুক্ত প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে জেলা শাসক ও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চব্বিশ ঘন্টা চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখতে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সহায়কদের জন্য কোয়াটার তৈরির বাজেট সহ বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বিশেষ করে জানাতে হবে এই ধরনের কোয়াটার কতগুলি তৈরি করতে হবে। হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বসার উপযুক্ত ব্যবস্থা করার নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বা হয়েছে। মহকুমা থেকে জেলা হাসাপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। অবশ্যই জেলা ও মহকুমা হাসাপাতালে মা ও শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো বিশেষ করে সদ্যজাত শিশুদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরির কথা বলা হয়েছে।