উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বাঘের কামড়ে আহত হয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করছিলেন কুলতলির হরিপদ দাস। গত বছরের ৩ জুলাই থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি। আপাতত তাঁকে কিছুদিনের জন্য ছুটি দিয়েছে চিকিৎসকরা। শনিবার নিজের বাড়ি কুলতলিতে ফিরলেন মৎস্যজীবি হরিপদ দাস।
জানা গিয়েছে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন হরিপদ দাস। মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের কামড়ে আহত হয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিগত ৬ মাস ধরে কলকাতা চিকিৎসা চলছিল তাঁর। একপ্রকার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন মৎস্যজীবি। তাঁর স্ত্রী অনিতা দাস জানান, আমার ১০ বছরের এক পুত্র রয়েছে। তাকে বাড়িতে রেখে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। তবে আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে এপিডিআর নামে এক মানবাধিকার সংগঠন। তাদের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা থেকে ফ্রী এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছি। আমরা চাই, লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে বাঘে আক্রান্তদের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার। পঙ্গু হয়ে যাওয়া হরিপদ দাসের পরিবারের একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সরকারি সার্কুলার অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী হরিপদ দাসকে দ্রুত প্রাপ্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেওয়ার ব্যবস্থা করুক বনদপ্তর।