পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হাঁসখালি নাবালিকা গণধর্ষণের মামলায় দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা মঞ্জুর করেছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, মৃত নির্যাতিতার প্রেমিক ব্রজগোপালকে। আটক করা হয়েছে আরও দুজনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রেমিকাকে আমন্ত্রণ। তারপর সেখানে জোর করে মদ খাইয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার হাঁসখালি থানার গাজনা এলাকায়। মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার। অভিযুক্ত প্রেমিক সোহেল গয়ালি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। গত সোমবার বিকেলে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও, শনিবার রাতে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃত্যুর পর অভিযুক্তর পরিবারের চাপে ময়নাতদন্ত না করিয়ে তড়িঘড়ি মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে নাবালিকার পরিবার। হাঁসখালির কৃষক পরিবারের বছর ১৪-র ওই নাবালিকার সঙ্গে কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালির ২০ বছরের ছেলে সোহেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে সোহেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যায় নাবালিকা। এরপর অপরিচিত এক মহিলা ওইদিন রাত প্রায় সাড়ে ৭টা নাগাদ নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। বাড়িতে আসার পর থেকে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা লক্ষ্য করেন তার মা। পর ভোরেমেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে, মা স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান। তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তর আত্মীয় শিখারানী গয়ালি জানান, পঞ্চায়েত সদস্য বাবা ও তার ছেলে এলাকায় বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেলের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনায় সোমবার সকাল থেকেই হাঁসখালিতে বিজেপির ডাকে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ। সোমবার ওই মৃত নাবালিকার বাড়িতে যাবে আজ বাম-বিজেপি-র মহিলা প্রতিনিধি দল।