পুবের কলম প্রতিবেদকঃ জিডি বিড়লা স্কুল খুলছে সোমবার থেকে। শনিবার এমনই নির্দেশ দিল স্কুলে কর্তৃপক্ষ। স্কুল খুললেও নির্দেশে লেখা হয়েছে যাঁরা ফি দিয়েছেন তাদের জন্যই স্কুল খোলা হচ্ছে। একই নির্দেশিকা দিয়েছে অশোক গালর্স ও মহাদেবী বিড়লা স্কুলে ।
যে কারণেই স্কুলে বন্ধ হোক না কেন, সেই শাস্তি পড়ুয়ারা কেন পাবে। স্কুলে বন্ধ থাকলে পড়ুয়াদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। স্কুলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হোক, তা চাইবো না বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
এক অভিভাবকের কথায়, মেয়েকে দেখেও বুঝতে পারছিলাম মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরছিল ওকে। সেই জায়গা থেকে ফের স্কুলে খোলার বিষয়টি অবশ্যই স্বস্তি দিচ্ছে। তাঁর মতে, যে কারণেই স্কুলে বন্ধ হোক না কেন, তার শাস্তি পড়ুয়ারা কেন পাবে? এমনিতেই কোভিডের কারণে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। তার উপর আবার অন্য কারণে পড়াশোনা ব্যাহত হলে বাচ্চাদের ক্ষতি হবে, সেটা কখনই উচিত নয় বলে জানান অভিভাবকরা।
পড়ুয়াদের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলে এবং পাম অ্যাভনিউয়ের অশোক হল গার্লস স্কুলে। নোটিস দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুলে বন্ধের কথা ঘোষণা করেন স্কুলে কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েন দুই স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। আগাম না জানিয়ে স্কুলে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
স্কুলের একাংশের অভিভাবক, যাঁরা ইতিমধ্যে পুরো বেতন দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু অপর একটি অংশের অভিভাবক যাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বেতন দিয়েছেন তাঁরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই নোটিশ নিয়ে।
অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন যারা ফি ইতিমধ্যেই জমা করেছেন তাদের পড়ুয়াদের কেনো ক্লাস করতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার অন্যান্য দিনের মতোই দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠির ওই স্কুলে পৌঁছয় পড়ুয়ারা। কিন্তু গেটের সামনে নোটিশ ঝুলতে দেখেন সকলে।