পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (‘Lakshmi Bhandar’) প্রকল্পে সারা পড়েছে জন-জীবনে। ফর্ম ফিলাপ করতেও লম্বা লাইন পড়েছে। তবে শুক্রবার নবান্ন থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পে মানুষ যাতে খুব সহজেই ফর্ম ফিলাপ করতে পারেন, তার জন্য নিয়মে আরও সরলীকরণ আনা হল।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড, তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি সার্টিফিকেট না থাকলেও এ বার থেকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’-এ আবেদন করা যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য কোনও আবেদনকারীর নির্দিষ্ট কোনও কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট আবেদনকারীর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে যাতে নির্দিষ্ট কার্ড করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন।
তবে আবেদনকারী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার যোগ্য কিনা, তা যাচাই করে দেখা হবে। তবেই আবেদনকারীরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা এখন পাচ্ছেন মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারই এক কোটির বেশি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এই প্রকল্পের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের টাকা। বাকি ৫৯ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে যাতে অতি দ্রুত পৌঁছে যায়, তার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
উল্লেখ্য, এ বারের বিধানসভা ভোটের ইস্তেহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা। এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের প্রাথমিক আয়ের সহায়তা নেই তারা এই প্রকল্পের আওতায় এই সুবিধা পাবে। এই স্কিমের মাধ্যমে, সরকার পরিবারের মহিলা প্রধানদের প্রাথমিক আয়ের সহায়তা প্রদান করতে যাচ্ছে। ১.৬ কোটি পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পও তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারের একটি অংশ ছিল।