ঢাকা, ৮ নভেম্বরঃ ‘ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করি না। ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওয়াশিংটনকে আমরা থোড়াই কেয়ার করি।’ এভাবেই গর্জে উঠলেন ঢাকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ মাহমুদুর রহমান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপরে কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে কিছু মহলে চর্চা হচ্ছে। আওয়ামি লিগের কেউ কেউ বলছেন, ডেমোক্র্যাট-ঘনিষ্ঠ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস যথেষ্ট চাপে পড়লেন ট্রাম্প ফিরে আসায়। ইউনূসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক যে মধুর নয়, তা জানা কথা। যদিও এবার ইউনূস ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’ দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
Read More: এখন কী কাজ করবেন কমলা হ্যারিস?
সম্পর্ক নিয়ে যখন জল্পনা চলছে তখন আমেরিকায় সরকার পরিবর্তনের প্রভাবকে কার্যত অস্বীকার করছেন বাংলাদেশের বহু ছাত্র-নাগরিক। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম জানিয়েছেন, হাসিনা তো আওয়ামি লিগের লোকজনকে ফেলে পালিয়ে গেছে। এই এতিম বাচ্চারা ভাবছে ট্রাম্প এলে হাসিনা টুক করে দেশে ঢুকে পড়বে। আমরা প্রস্তুত আছি। দেখি কে আসে। তারা আরও বলেন, তৃতীয় বিশ্বের একটা ছোট দেশে কে ক্ষমতায় আছে তা দেখে আমেরিকার মতো দেশের বিদেশনীতি ঠিক হয় না।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র-জনতার শক্তিতে বিপ্লব করেছি, কোনো বিদেশি শক্তিতে করিনি। আমরা ওয়াশিংটনকে থোড়াই কেয়ার করি। সুতরাং ওয়াশিংটনে ট্রাম্প আসলে আমাদের বিপ্লব ক্ষতিগ্রস্ত হবে বা কথিত ফ্যাসিবাদ আবার চলে আসবে এটা বিশ্বাস করি না। এটা যদি আমি বিশ্বাস করি তাহলে আমাদের মহান শহিদদের প্রতি অবমাননা করা হবে। তারা জীবন দিয়েছে শক্তিশালী আত্মনির্ভর জাতি গড়ে তোলার জন্য। যে জাতি ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। তাই ওয়াশিংটনের নির্বাচনে আমাদের কিছু যায় আসে না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্পের বিজয়ের পর অনেকে বলছেন আওয়ামী লীগ বোধহয় ক্ষমতায় চলে আসবে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এই বিপ্লবে বিদেশি কোনো সমর্থন ছিল না। এই বিপ্লব সম্পূর্ণভাবেই আমাদের বিপ্লব। কাজেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্প না বাইডেন না কমলা হ্যারিস আসল, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওয়াশিংটনের সমর্থনে আমরা বিপ্লব করিনি।’