পুবের কলম প্রতিবেদক তিলোত্তমা কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা শহরগুলিতে দ্ষূণ কমাতে ই-পরিবহণের ওপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ই-অটো। বর্তমানে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তেই চলাচল করে অটো। বহু ক্ষেত্রেই অটো থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে নানা সময়ে। পুরনো সেই জ্বালানির অটো বদলে ফেলে নয়া ই-অটো আনতে চাইছে রাজ্য পরিবহণ নিগম। কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা আলোচনা করা হয়েছে। এবার অটো ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে পরিবহন নিগম সূত্রে জানা গেছে।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই ই-অটো মডেল দেখেছেন। নিউটাউন-সল্টলেক-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায় বসানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক চার্জিং স্টেশন। সেখানেই চার্জ করার সুবিধা থাকবে। আর এই অটো চললে দূষণের মাত্রা শূন্যতে এসে পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই ই-অটোতে জোর দিচ্ছে রাজ্য।
পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন– রাজ্য পরিবহন দফতর একাধিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছে। বিভিন্ন মডেল নিয়ে আসা হবে। ই-অটো অনেক খরচ সাপেক্ষ। কিলোমিটার প্রতি খরচ অনেক কমবে। ইলেকট্রিক বাস ও ফেরি ব্যবস্থার কারণে কমেছে দূষণ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় [1]আগামী দিনে দূষণ কমাতে এই ব্যবস্থা ভীষণ কার্যকরী হবে দাবি মন্ত্রীর।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর– আগামী কয়েক বছরেই শহরের রাস্তায় নামতে চলেছে আরও ১০০০টি পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাস । সেগুলি চলবে কলকাতা ও নিউটাউনের বিভিন্ন বাস ডিপো থেকে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবে বাসগুলি। বর্তমানে কলকাতায় একাধিক বৈদ্যুতিক বাস বা ই-বাস চলে। গত তিন বছর থেকে শহরে নামা ই-বাস সাধারণ মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এমনকী খুব প্রশংসিত হয়েছে বিদেশের দরবারে। তাই পরিবহন ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব এই বাস নামাতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর । ইতিমধ্যেই চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো থেকে শুরু করে আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরি একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ফলে এই ধরনের বাস বাড়ালে পরিকাঠামোগত দিক থেকে কোনও সমস্যা হবে না। পাশাপাশি সোলারাইজড বাসডিপো তৈরি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পরিবহন দফতরের তরফে। একদিকে শহরের পরিকাঠামো উন্নয়ন– অন্যদিকে বাতাসের দূষণ নিয়ন্ত্রণে বছর খানেক আগে কলকাতায় চালু হয়েছিল ইলেকট্রিক বাস। যা শুরুতেই জনপ্রিয় হয় কলকাতায়। কলকাতার সেই ই-বাস পরিষেবা আন্তর্জাতিক দরবারে স্বীকৃতিও জিতে নেয়। আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ এজেন্সির ২০২০-এর গ্লোবাল ইলেকট্রিক ভেহিকল আউটলুক (জেভো) রিপোর্ট প্রকাশিত হয় প্যারিসে। দেশের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতার ই-বাস পরিষেবা প্রশংসিত হয়েছে ওই রিপোর্টে।