পুবের কলম প্রতিবেদক: অর্থাভাবে জর্জরিত কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যার জেরে পেনশন না পেয়ে একাধিকবার পুরসভায় এসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। কিন্তু সুরাহা কিছু হয়নি। এরই মধ্যে পুরসভার এক বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনলাইন পরিষেবা সচল রাখার জন্য প্রত্যেক মেয়র পারিষদকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ট্যাব দেওয়া। এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যেখানে ব্যয় সঙ্কোচে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তখন এই বাড়তি খরচা কেন!
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের সংখ্যা ১৪ জন। অর্থাৎ প্রত্যেককে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টাব দিলে খরচ হবে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বেহিসেবী খরচের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
এ প্রসঙ্গে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘অত্যন্ত নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত। কর্মচারীদের পেনশন দিচ্ছে না। এই ট্যাব দিয়ে মেয়র পারিষদদের গতিবিধি চালানোর একটা পরিকল্পনা মাত্র।’ যদিও কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সন্দীপন সাহার বক্তব্য, ব্যয় সঙ্কোচের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুরসভা বেতন দিতে পারছে না, এ সব বাজে অভিযোগ।’
উল্লেখ্য ট্যাব দেওয়া হবে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, অনলাইনে অফিশিয়াল কাজকর্ম যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে করা যায়, তা নিশ্চিত করতে মেয়র পারিষদদের ব্যবহারের জন্য ট্যাব দেওয়া হবে। এই ট্যাবের দাম ৪৯ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না। আবার এই বিজ্ঞপ্তির পরের দিনই ১ এপ্রিল পুরনিগমের আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে পুরনিগমের বিভিন্ন দফতরের অতিরিক্ত খরচ কমাতে পর্যালোচনা করা হবে। এর জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পর পর দুদিন দুধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। একদিকে যখন খচর কমানোর চেষ্টা চলছেতখন কিভাবে এত টাকা দিয়ে ট্যাব কেনার সিদ্ধান্ত হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।