ওয়াশিংটন: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে জরুরিভিত্তিতে মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য গত মাসে ইসরায়েলকে ৩০ দিনের সময় বেঁধে দেয় আমেরিকা। অন্যথায় সামরিক সহায়তায় কাটছাঁট করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় ওয়াশিংটন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর সেই কথা রাখেননি। কেনো গণহত্যায় মদদ! সেই প্রশ্নই তুলল আমেরিকার সবচেয়ে বড় মুসলিম নাগরিক সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশন (সিএআইআর)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলেও ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।
গাজায় ভয়াবহ ক্ষুধা বন্ধ করতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরাইলকে সতর্ক করেছিল আমেরিকা। ৩০ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। তবে বাইডেন প্রশাসনের সতর্কতার তোয়াক্কাই করেনি নেতানিয়াহু। তারপরও অবাধে ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিএআইআর। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুদ্ধাপরাধের অর্থায়ন আপনাকে যুদ্ধাপরাধী করে তুলেছে।”
টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ইতোমধ্যে ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি। উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইসরাইল সরকারকে এক চিঠি দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে গাজার মানবিক অবস্থার উন্নতি করার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি তেল আবিব। অন্যদিকে আনেরা, অক্সফামসহ আটটি আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা সংস্থা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইসরাইল কেবল মানবাধিকারের মার্কিন মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থই হয়নি, বরং একইসঙ্গে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যা গাজার মানবিক সংকটকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেছে।”