পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকা উড়ে যাওয়ার আগে ধরা পড়ে শ্রীঘরে প্রেমিক। জানা গেছে, মেদিনীপুরের বাসিন্দা অর্ঘ্য পট্টনায়েক এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও সহবাস করেছে। অভিযোগকারীনি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসে অভিযুক্ত অর্ঘ্য। পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নামী বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে। বর্তমানে কোম্পানির এক প্রজেক্টে ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মরত। শনিবার আমেরিকা পাড়ি দেওয়ার আগে দিল্লি বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতর গ্রেফতার করে অর্ঘ্যকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযোগকারীনি তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় ধৃতের। তিনিও পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। দু’জনের আলাপপরিচয় পর্বের পর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতার দিকে এগোয়। সেই সময় ছুটিতে কলকাতায় এসে দু’জনে দেখা করেন। অভিযুক্ত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগকারীনির দাবি, তাঁকে কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যান অর্ঘ্য। ২০১৮ থেকে ২২ সাল পর্যন্ত একাধিকবার বিভিন্ন হোটেলে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এইপর্বে তরুণী অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি যেতে চাইলে মেদিনীপুর অনেক দূর বলে এড়িয়ে যান অর্ঘ্য। বিয়ের কথা বললে বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যেতে থাকেন অভিযুক্ত। প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি দেন আমেরিকা থেকে ফিরে বিয়ে করবেন। ২০২২ সালে নিউ মার্কেট এলাকায় একটি হোটেলে এসে ওঠেন দু’জনে, সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে তরুণীর দাবি।
এরপরেই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় যুবক। তরুণী বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
কিন্তু বিদেশে থাকায় তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না। মাঝে কলকাতায় এলেও পুলিশের নজর এড়িয়ে যান। এরপরেই আদালতের অনুমতি নিয়ে দু’মাস আগে লুক আউট নোটিশ জারি করে পুলিশ। শুক্রবার দিল্লি বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা খেয়াল করেন তার নামে লুক আউট নোটিস রয়েছে। এরপর তাকে আটক করে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি কলকাতা পুলিশকে জানানো হলে তারা গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে স্থানীয় আদালতে হাজির করে। ট্রানজিট রিমান্ডে অভিযুক্তকে শনিবার রাতে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। রবিবার তাকে ব্যাঙ্কশাল তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠান।