ফারুক আহমেদঃ সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর ব্রাত্য বসু তাঁর ফেস বুক ওয়ালে নিজের খুশি ব্যক্ত করে লিখলেন, ”এসো, সুসংবাদ এসো”..।
সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার একটি সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মাননা। জাতীয় সারস্বত প্রতিষ্ঠান সাহিত্য আকাদেমি কর্তৃক অসামান্য সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদত্ত হয়ে আসছে। ২০২১ সালের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেলেন শ্রী ব্রাত্য বসু।
সাহিত্য ও নাটকের পাশাপাশি ব্রাত্য বসু একজন অধ্যাপক, ভারতীয় বাঙালি নাট্যকার, নাট্য পরিচালক, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী।
২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ সালে পরপর তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দমদম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
কবি সুবোধ সরকার তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ব্রাত্য বসু এ বছর সাহিত্য অকাদেমি পেলেন তাঁর ”মীরজাফর ও অন্যান্য নাটক” বইটির জন্য।
কবিতা যেমন, উপন্যাস যেমন, প্রবন্ধ যেমন তেমনি নাটক বাংলা সাহিত্যের একটি শণিতবহনকারী আর্টারি। আমরা যখন পিরানদেল্লো পড়ি, গিরিশ কারনাড পড়ি, প্রথমে সাহিত্য হিসেবে পড়ি, তারপর অপেক্ষা করি মঞ্চে তার উদ্ভাসনের জন্য। ব্রাত্য বসুর নাটক আমি প্রথম থেকে পড়ে আসছি এবং দেখে আসছি। তাঁর নাটক আমি মহেশ এলকুঞ্চার এবং বিজয় তেন্ডুলকরের মাঝখানে রেখে পড়ি। এবং বারবার বিস্মিত হই তাঁর প্রতিভার ঝলসানিতে। তাঁর সংযম এবং বিস্ফোরণে। এখানে একটু বলে রাখি মারাঠিতে নাটক-ই সাহিত্যের প্রধান শাখা। আমরা যেমন উপন্যাস পড়ি, মারাঠিরা তেমনি নাটক দেখলে গোগ্রাসে পড়তে থাকেন।
একজন যোগ্য নাট্যকার সাহিত্য অকাদেমি পেলেন। আমার একটা ব্যাক্তিগত কথা বলতে ইচ্ছে করছে আজ– আমরা দুজন, আমি এবং ব্রাত্য, সিটি কলেজে পাশাপাশি দুটো চেয়ারে বসে এগারো বছর চাকরি করেছি। আর কোনও কলেজে এমন ঘটনা ঘটেনি পাশাপাশি দুটো চেয়ার-ই সাহিত্য অকাদেমি পেল। পাশাপাশি বসার জন্য কত টিপ্পনি সয়েছি।
অভিনন্দন ব্রাত্য বসু। আজ নাটকের দিন। আজ বাংলা সাহিত্যের দিন। আজ প্রতিভা উদযাপনের দিন।”