পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাটের নারকীয় ঘটনার আজ ছাপ পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার মধ্য দিয়ে। বুধবার মঞ্চ থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজই রামপুরহাটে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু গেলাম না। আমি কাল যাব।
আজ কিছু মানুষ সেখানে গেছে। তারা এসি বাসে করে গেছে। এখন ল্যাংচা খাচ্ছে। তার পর বগটুই গ্রামে যাবে। আমি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার করতে চাই না। ওরা ভালোভাবে যাক। এই রাজ্য লখিমপুর বা উন্নাও নয়। সেখানে আমাদের এমপিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমাদের রাজ্যে সকলের সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে।
আজ নেতাজি ইন্ডোর থেকে নতুন আবেদকারীদের বিধবা ভাতা অনুষ্ঠান থেকে এইভাবেই সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, আমরা চক্রান্তকারী দল করি না। আমাদের কাছে মানবিকতাই আগে। কিছু হলেই পুলিশের দোষ ধরছে। হাঁচলে, কাশলে পুলিশের দোষ ধরছে কিছু মানুষ। ঈদ, রমযান, বড়দিনে মানুষকে পাহারা দেয় তারাই। এখানে কিছু হলে আদালতে দৌড়চ্ছে মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রামপুরহাটে যাব। অ্যাকশন নিতে আমি কোনও দল দেখি না। নিজেরাই চক্রান্ত করছে, আর চক্রান্ত করে আমাদের দোষ দিচ্ছে। রামপুরহাটের গ্রামের ঘটনা দুঃখজনক। সরকার আমাদের, আমরা কেন চাইব কেউ খুন হোক? যে দোষী সেই শাস্তি পাবে। কাল খবর পাওয়ার পরেই ফিরহাদ হাকিম, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে পাঠিয়েছি। কিন্তু এখানে কিছু মানুষের কোনও কাজ নেই। কিছু মানুষ খালি চক্রান্ত করছে। তৃণমূল চক্রান্তকারী দল নয়।
এদিন মমতা বলেন, বাংলার লোগো নিয়ে রাজনীতি চলছে। ভারত সরকার যদি লোগো লাগাতে পারে, তাহলে রাজ্য সরকার পারবে না কেন? আদালতে গিয়ে বলা হচ্ছে ‘তৃণমূলের লোগো’ লাগানো হচ্ছে। স্কুলের জামায় কেন ‘বিশ্ব বাংলার লোগো’ তা নিয়ে মামলা করে দিয়েছে। অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বাললে নিজের ঘরেও আগুন জ্বলবে। বিশ্ব বাংলার রাজ্যের ব্র্যান্ড।
নিজেরা কাজ করে, টিভিতে বসে গালাগাল দিচ্ছে। কে কত গালাগাল দিতে পারে তার প্রতিযোগিতা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বাংলার প্রকল্পের উল্লেখ করে বলেন, এত সামাজিক স্কিম কোথাও নেই। এপ্রিল থেকে নতুন আবেদনকারীদের বিধবা ভাতা দেওয়া শুরু হবে। ৮ লক্ষ বিধবা ভাতা দেওয়া্র কাজ চলবে।
নোটবন্দি হওয়ার পরে আমি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এনেছি। আমি চাই এ রাজ্যের মা-বোনেরা নিজের অধিকারে বাঁচুক। অন্তত তাদের হাতে কিছু টাকা তো থাকুক। মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার -মা -বোনেদের আমার আবেদন সকলকে শাড়ির আঁচল দিয়ে আগলে রাখুন।