পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আজ আনিস কাণ্ডে ২০ পাতার রিপোর্ট পেশ করল সিট ও জেলা জজ। কলকাতা হাইকোর্টে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তদন্ত যেভাবে এগিয়ে সেই সংক্রান্ত তথ্য আছে ওই ২০ পাতার রিপোর্টে। এছাড়াও আনিসের মোবাইল আগেই পাঠানো হয়েছে হায়দরাবাদের ফরেনসিক ল্যাবে। তবে এই মোবাইল সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট আপাতত ওই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে জমা দেওয়া হয়নি। ওই রিপোর্ট আসতে আরও তিন সপ্তাহ সময় লাগবে বলে ২০ পাতার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকালই আনিস কাণ্ডে ধৃত হোম গার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যের জামিনে আবেদন খারিজ করে উলুবেড়িয়া আদালত। ২৩ মার্চ পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতা সারদা দক্ষিণ দাঁ পাড়ায় আনিস খান ঘটনার সূত্রপাত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন আনিস। জানা যায় আগে একটা সময় এসএফআই করতেন আনিস। পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হন। আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোগ, ঘটনার দিন রাতে পুলিশের পোশাক পরে আসা কর্মীরা জানান, তারা আমতা থানা থেকে এসেছে। পুরনো কেসের ব্যাপারে আনিসের সঙ্গে কথা বলবেন বলে তারা তিনতলায় চলে যান। তার পরেই পরিবারের অভিযোগ ধপ করে কিছু পড়ার আওয়াজ পান তারা। গিয়ে দেখেন আনিস বাড়ির তলায় পড়ে আছে। পরে চিকিৎসকরা জানায় আনিসের মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যে ছেলের মৃত্যুর তদন্তে একাধিকবার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে আনিসের পরিবার। হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপুলিশের ডিজি জানান, ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দুজন হলেন কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য। যারা জেল হেফাজতে আছেন। ইতিমধ্যেই আমতা থানার ওসি ও সেদিন রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের ডেকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ভবানীভবনে।
রাজ্যপুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সাংবাদিক বৈঠক করা কালীন জানান, ১৫ দিনের মধ্যেই সব তথ্য সামনে আসবে। পরিবারকে তদন্তের ওপরে ভরসা রাখতে বলা হয়।
এর পর হাইকোর্টের নির্দেশে আনিসের পরিবারকে তদন্তে সিট-এই ভরসা রাখতে বলা হয়। তার পরেই আনিসের তদন্তভার হাতে নেয় সিট। ইতিমধ্যেই আনিসের দেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছে। আনিসের দাদার কাছেও ‘সিবিআই তদন্ত চাইলে’ তাকে ও সালেম খানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি কাণ্ডে তিলজলার এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই মুহূর্তে আনিস কাণ্ডে ২০ পাতার রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। ২৩ মার্চ সকাল ১১টা থেকে শুনানি চলবে। এখন দেখা যাক আনিস কাণ্ডে আর কি তথ্য উঠে আসে।