পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হুমকি, হুমকি আর হুমকি! বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি ফোন যেন রুটিন মেডিসিন। দিনে একবার করে হলেও খেতে হবে। বিগত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৫১০-অধিক বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি মিলেছে। এই আবহে বুধবার সন্ধ্যা ও বৃহস্পতিবার সকালে বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি ফোন আসে। জানা গেছে, বুধবার মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ফোন আসে সিআইএসএফের কন্ট্রোল রুমে। শোনা মাত্রই হুলস্থুল পড়ে যায় বিমান চত্বরে। দ্রুত বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বাড়তি নজরদারি শুরু হয়। যদিও বোমা মেলেনি বলেই খবর।
আরও পড়ুন: বুকার পুরস্কার জিতলেন ব্রিটিশ লেখক সামান্থা হার্ভে
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বোমাতঙ্ক ছড়ায় নাগপুর থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর একটি উড়ানে। খবরটি শোনা মাত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ছত্তিশগড়ের রায়পুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের আশঙ্কায় রায়পুরে দ্রুত যাত্রীদের বিমান থেকে নামানো হয়েছে। নানা পরীক্ষা হলেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রতিবারের ন্যায় এবারেও বেশিরভাগ হুমকি পেয়েছে সোশ্যাল সাইট মারফত। বিগত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিমানে মোট ৫১০ বোমাতঙ্কের খবর মিলেছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কড়া আইন আনার কথা উঠেছে। তবে কবে থেকে সেই আইন কার্যকর হবে তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু জানিয়েছেন, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ হবে।
শুধু তাই নয়, সরকার এ ধরনের উড়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের নো ফ্লাই তালিকাভুক্ত করবে বলেও জানিয়েছে। বলা বাহুল্য, এই ধরণের বোমাতঙ্কের খবর বেশিরভাগ সোশ্যাল সাইট এক্স (পূর্বতন টুইটার) মারফৎ এসেছে। ইতিমধ্যেই যেই অ্যাকাউন্ট থেকে খবর গুলো ছড়ানো হচ্ছে সেগুলি চিহ্নিত করতে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি), ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট-ইন) একযোগে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক অর্থাৎ ভিপিএন ব্যবহার করেই হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে।যার জন্যে বার্তাপ্রেরকদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে সাইবার টিমকে। তবে যেই আইপি অ্যাড্রেসগুলি ব্যবহার করে বোমার হুমকিবার্তা পাঠানো হচ্ছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গেছে, হুমকির ৭০-৮০ শতাংশ আসছে ভারতের বাইরে থেকে। বেশির ভাগ হুমকিদাতার আইপির অবস্থান জার্মানি, ব্রিটেন, কানাডা ও আমেরিকা। তবে দেশের অন্দর থেকেও হুমকি আসছে।