পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ করোনা-ওমিক্রনের দাপট আতঙ্ক ধরাচ্ছে শহরবাসীর মনে। কলকাতায় মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬।
শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এক সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, সংক্রামিতদের মধ্যে ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন। ১৭ শতাংশের উপসর্গ রয়েছে। ৩ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিন ফিরহাদ বলেন, এবারে উপসর্গহীন হলেও ৫ দিন পর পরীক্ষা করাতে হবে। আবার সেফ হোমগুলি চালু করা হবে। কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন করা হবে। কোনও এলাকায় ৫ থেকে ৬ জনের বেশি আক্রান্ত হলে সেই এলাকাটিকে কনটেনমেন্ট জোন করা হবে।
পুরসভার কর্মীদের ক্ষেত্রেও আক্রান্তদের ফের পাঁচদিন পরে আবার কোভিড টেস্ট করাতে হবে। সুস্থ হলে কাজে ডেকে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সকলের কাছে কোভিডবিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, প্রয়োজন হলে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন করা হবে। তবে এখনই স্কুল-কলেজ বন্ধ করার বিষয়ে হাঁটছে না সরকার।
বিশ্বের পাশাপাশি সারা দেশে দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তার মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়ে বেড়েছে দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের গ্রাফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১৩ হাজার ১৫৪ ৬ হাজার ৩৫৮ জন। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন ২২০ জন। এদিকে, দেশে ৭ হাজার ৫৮৫ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬৩ জন করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ২৭০। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৯৬১। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩০৯ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। দেশের ২৩টি রাজ্যে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন।