Mon, July 1, 2024

ই-পেপার দেখুন

তিন আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার

আবুল খায়ের

Published: 21 June, 2024, 04:07 PM
তিন আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার

 

 

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ লোকসভা ভোট মিটতেই কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াল রাজ্য সরকার। শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি তিন পাতার চিঠি লেখেন। মোদি তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই নবান্নে পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নবান্নের সেই বৈঠকের পরই এই চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিগত লোকসভায় পাস হওয়া নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন নিয়ে এই চিঠি লিখেছেন মমতা। ওই তিনটি আইন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ ও সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন আইন কার্যকর করার বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে নতুন সংসদে এই তিন আইন নিয়ে আলোচনারও দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

লোকসভায় এই তিনটি নতুন আইন নিয়ে আলোচনার পরই সে ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনের সময় নতুন তিনটি বিল পেশ করে তৎকালীন মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করে জানিয়েছিলেন ১৮৬০ সালে তৈরি ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (ভারতীয় দণ্ডবিধি) বদলে গিয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইন হবে।

সেই সঙ্গে ১৮৯৮ সালের ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট (ফৌজদারি দণ্ডবিধি ) বদলে হবে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা আইন। একইভাবে ১৮৭২ সালের ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট হওয়ার কথা ভারতীয় সাক্ষ্য বিল। এই তিনটি বিল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্বের মোদি সরকার সংসদের দুই কক্ষেই এই তিনটি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে।

উল্লেখ্য, যে সময়ে এই তিনটি বিল পাস করানো হয়েছিল সেই সময় সংসদের উভয় কক্ষেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় তুমুল হই হট্টগোলের ছবি ধরা পড়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছিল, ১৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনাও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এই তিনটি বিল সংসদে পেশ করার সময় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ একাধিক বিরোধী দল তখন ঐক্যবদ্ধভাবে তীব্র বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, এই তিন ফৌজদারি বিলে বেশ কিছু জায়গায় পুরনো আইনকেই কপি-পেস্টকরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তির কথা বলছে, কিন্তু এই বিলগুলিতে সেই ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারনাকেই আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

Leave a comment