ইন্দোরের আশ্রমে খাবারে বিষক্রিয়ার জের, মৃত্যু ৪ নাবালকের
হাথরস: কে এই ভোলে বাবা? বুজরুকির জন্য জেলেও যেতে হয়েছিল এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে
‘সমস্ত বুথফেরত সমীক্ষা ভুয়ো’, বিরোধী হাওয়া প্রবল দাবি পরাকলা প্রভাকরের
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মুসলিম সম্প্রদায়’কে টার্গেট করার জন্য হিজাব, নেকাব, বুরকাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি। প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে একটি নির্দিষ্ট ড্রেস কোড চালু করার জন্যই এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। হিজাব বিতর্কে করা মামলায় বুধবার বোম্বে হাইকোর্টের সওয়ালে এমনটাই জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কলেজ প্রাঙ্গণে হিজাব,নেকাব, বুরকার নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৯ জন ছাত্রী। চেম্বুর ট্রম্বে এডুকেশন সোসাইটির এন জি আচার্য এবং ডি কে মারাঠে কলেজের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের ছাত্রীদের টার্গেট করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ বলে অভিযোগ আনে ওই পড়ুয়ারা।
এদিন আবেদনকারী পড়ুয়ারা কোর্টকে জানান, দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার রয়েছে। কে কি পোশাক পরবে, কে পরবে না তা কলেজ কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেবে না। পোশাকের স্বাচ্ছন্দ্যতা যে যার ব্যক্তিগত। হিজাব, নেকাব, বুরকার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ যা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা একেবারে স্বেচ্ছাচারী, অযৌক্তিক।
বুধবার বিচারপতি এ এস চান্দুরকার এবং রাজেশ পাতিলের যৌথ ডিভিশন বেঞ্চ উভয়পক্ষকে সংশ্লিষ্ট বিসয়ে সওয়াল-জবাব করে। পোশাক-আশাকে নিষেধাজ্ঞা আরপের মতো ক্ষমতা ম্যানেজমেন্টের কাছে আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে। উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানির পর আগামী ২৬ জন সংশ্লিষ্ট মামলায় শুনানি দেবে কোর্ট বলেই জানা গেছে।
আবেদনকারীদের আইনজীবী আলতাফ খান তাদের বিরোধকে সমর্থন করার জন্য কুরআনের কিছু আয়াত উদ্ধৃত করে এদিন হিজাবের পক্ষে সওয়াল করেন। ধর্ম পালনের মৌলিক অধিকারের কথা জানান, অন্যদিকে কলেজের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী অনিল আন্টুরকার জানান, পোশাকের ওপর জারি নিষেধাজ্ঞা কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য নয়। এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘মিস কোট’ করা হচ্ছে।
হিজাব, নেকাব বা বুরকা পরা ইসলামের একটি অপরিহার্য অঙ্গ নয়। আগামীকাল যদি কোনও ছাত্র সম্পূর্ণ 'ভগওয়া' (জাফরান) পোশাক পরে আসে, কলেজ তারও বিরোধিতা করবে, এদিন বিচারপতিদের প্রশ্নোত্তরে এমনটাই জানান আইনজীবী অনিল আন্টুরকার।