পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেরলের ভূমিধস নিয়ে ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। রাহুল গান্ধিকে তীর দেগে তিনি অভিযোগ করেছেন, "ওয়ানাডের সাংসদ হওয়ার পর গত ১,৮০০ দিনে তিনি সংসদে একবারও ভূমিধস বা বন্যার বিষয় উত্থাপন করেননি।" তিনি আরও বলেছেন, "২০২০ সালে কেরল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ ওয়েনাডের ভূমিধস-প্রবণ এলাকা থেকে ৪০০০ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। আজ অবধি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এবং ওয়ানাডের প্রতিনিধিত্বকারী সাংসদ আজ অবধি এই বিষয়টি উত্থাপনও করেননি। কেরলের বনমন্ত্রী বিধানসভায় স্বীকার করেছেন যে তারা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের চাপের কারণে অবৈধ দখল সরাতে পারছেন না।"
এদিকে মঙ্গলবার থেকে কেরলের ওয়ানাডের মেপ্পাদির কাছে পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস দেখা যায়। ভূমিধসে অন্তত ১৫৮ জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে খবর। ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ১৮০ জনেরও বেশি মানুষকে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থা এবং সেনাবাহিনী লাগাতার উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
সংসদে কেরলের ভয়াবহ ভূমিধসকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুললেন রাহুল
বিহার : গণধর্ষণ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে ব্লেডের আঘাত, গ্রেফতার ডাক্তার সহ আরও ২ সহযোগী
মুম্বাইয়ে হিট অ্যান্ড রান: বাইক আরোহীকে পিষে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার শিবসেনা নেতা-চালক
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির জেরে ওয়েনাডে তিনটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে মুন্ডাক্কাই, চুরামালা, আত্তামালা এবং নুলপুঝা গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ছালিয়ার নদীতে ভেসে গেছে বেশ কয়েকজন। ওয়ানাডে ৪৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন দু’দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর ইউনিট, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবার কর্মীরা দ্বিতীয় দিনে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধার অভিযানের জন্য মোট ২২৫ জন সেনা সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জেলার চুরামালা এবং মুন্ডক্কাই গ্রামের সংযোগকারী একটি বড় সেতু ভেসে যাওয়ার পরে সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী কাঠামো ব্যবহার করে ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ওয়ানাড এবং অন্যান্য কয়েকটি জেলায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইদুক্কি, ত্রিশুর, পালাক্কাদ, মালাপ্পুরম, কোঝিকোড়, কান্নুর এবং কাসারগোড জেলায় ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।