Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

কর্নাটক হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি সিদ্দারামাইয়ার, পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট

Bipasha Chakraborty

Published: 19 August, 2024, 08:39 PM
কর্নাটক হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি সিদ্দারামাইয়ার, পরবর্তী শুনানি ২৯ আগস্ট

বেঙ্গালুরু, ১৯ আগস্টঃ জমি কেলেঙ্কারি মামলায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার আবেদন হাইকোর্ট না শোনা পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টকে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হল। সোমবার কর্নাটক হাইকোর্ট শুনানির পরবর্তী সময় পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টকে কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ২৯ আগস্ট পরবর্তী শুনানি। এদিন হাই কোর্টের তরফে বলা হয়, পুরো বিষয়টি তারা শুনছেন। পরবর্তী শুনানির মধ্যে বাকি বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখা হবে। 

আদালতের প্রধান বিচারপতি এন ভি আঞ্জারিয়ার নির্দেশে এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিন হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলার পর্যবেক্ষণে এই রায় দেন। সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, রাজ্যপালের নির্দেশ সম্পূর্ণ ‘বেআইনি’। তাঁকে এবং রাজ্য সরকারকে বদনাম করাই প্রধান উদ্দেশ্য।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় কর্নাটক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট। কর্নাটক হাইকোর্ট মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট (মুদা) সম্পর্কিত মামলায় বহু কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সিদ্দারামাইয়ার বিচার করার অনুমতি দেন গেহলট। রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলটের জারি করা আদেশ বাতিল করতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জমি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ করেছিলেন স্নেহাময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়, (মহিশূর 
নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত।’
স্নেহময়ীর দাবি করেছিলেন, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন ‘মুডা’র দফতরে। অন্য দিকে, পার্বতীকেও বেআইনি ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় (প্রাইম লোকেশন) বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। 
ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল,  মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠিও লেখেন ওই সমাজকর্মী। এ বার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। 

কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর অবশ্য এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘তড়িঘড়ি নির্দেশ দেওয়াতে এটাই স্পষ্ট হয়, রাজ্যপালের উপর কেন্দ্রের চাপ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই ওঠে না। আমরা সবাই সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে আছি।’’ কংগ্রেসকে কোণঠাসা চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও সরব হয়েছেন কর্নাটকের মন্ত্রী এমবি পাটিলও।

Leave a comment