আইভি আদক, হাওড়াঃ” আ চলকে তুঝে ম্যায় লে কে চলু, ইক আ্যায়সা গগন কে তলে, যাঁহা গম ভি না হো, আঁশু ভি না হো ব্যস প্যায়ার হি প্যায়ার পলে”। আজ তিনি অনেক দূরে কিন্তু নিজের গানেই তিনি বলে গিয়েছেন ” যখন আমি অনেক দূরে, রইবো না এই মাটির পরে, তখন কি আমায় পরবে মনে”..
কে বলে নেই তিনি নেই। আজও অমর বাঙালির কিশোর কুমার। আগামী ৪ঠা আগস্ট কিশোর কুমারের জন্মদিনে বার্থডে কেক কেটে সেলিব্রেশন থেকে শুরু করে গান, দিনভর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে হাওড়ায়। ১৯২৯ এর এই বিশেষ দিনেই মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে কিংবদন্তি এই শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিল্পের মাধ্যমে তিনি সারা ভারতবর্ষ তথা সমগ্র বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। তিনি কি ছিলেন না ! একাধারে তিনি ছিলেন নায়ক, অভিনেতা, নির্দেশক, প্রযোজক, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক সর্বোপরি একজন প্রাণোচ্ছল বিনোদনকারী। তিনি শ্রদ্ধেয় আভাস কুমার গাঙ্গুলী আমাদের সকলের প্রিয়, সকলের আন্তরের প্রানের মানুষ কিশোর কুমার। এই বিশেষ দিনটিতে এবার মধ্য হাওড়ার কালিবাবুর বাজার “ফিউশন” এবং “হাওড়া তরুণ দল” এর যৌথ প্রয়াসে প্রথমবার হাওড়ায় “কিশোর কুমার”-কে স্মরণ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিন বার্থডে কেক কেটে শ্রদ্ধেয় কিশোর কুমারের জন্মদিন পালন হবে।
এবং পাড়ার সকল অনামী শিল্পী যারা কখনো গান শেখেননি বা মঞ্চে গাননি তাঁরা তাদের মতো করে ওনার গান গেয়ে কিশোর কুমারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। অনুষ্ঠানের
উদ্যোক্তা শেখর মুখোপাধ্যায় জানান, আমরা এবারই প্রথম এতো বড়ো আকারে কিশোর কুমারের জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।কিশোর কুমার এমন একজন প্রতিভা বিগত দিনেও তিনি প্রাসঙ্গিক ছিলেন। বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক এবং আগামী ভবিষ্যতেও ওনার প্রাসঙ্গিকতা এবং জনপ্রিয়তা বজায় থাকবে আমাদের অটুট বিশ্বাস।
কিশোর কুমারকে শোনেননি বা কোনও মাধ্যমে দেখেননি এটা বোধহয় কোনও প্রজন্মেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ওনার অবদান অনস্বীকার্য। তাই সমস্ত প্রজন্মের মানুষের মণিকোঠায় তিনি সর্বদা স্বর্ণোজ্জ্বল ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। কিশোর কুমারের শিল্পী সত্তা এবং ব্যক্তি সত্তা নিয়ে আলোচনা করতে বসলে বোধহয় এক যুগও কম পড়বে। তাই আমরা শিল্পীকে স্মরণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।