পুবের কলম প্রতিবেদক: অবৈধ কলসেন্টার খুলে নিরীহ মানুষকে ফোন মারফৎ প্রতারণা। টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে রমরমিয়ে চলত সেই জালিয়াতি চক্র। এই অভিযোগ হাতে পেয়ে একই বিল্ডিংয়ে বেআইনি দুটি পৃথক কলসেন্টারের অফিসে হানা দিয়ে মোট ১৪ জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নিউটাউন ইকোপার্ক থানা অন্তর্গত আকাঙ্খা মোড়ের এস্টার টাওয়ার বিল্ডিংয়ে বেআইনি ওই দুটি কলসেন্টারের অফিসে যৌথ হানায়, প্রথম বেআইনি কলসেন্টার থেকে ৩ মহিলা কর্মী-সহ মোট ৭ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ।
ধৃতেরা কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ও পুরুলিয়ার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা হল মেঘা বেরা (২২), শম্পা দে (২২), রেখা সাউ (২৮), পীযুষ দাস (২২), কুনাল সরকার (৩০), মুহাম্মদ আনিস রাজা (১৮), সুখেন ব্যাপারি (২৬)।
পুলিশ সূত্রে খবর, টাওয়ার বসিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার কাজে জড়িতদের গ্রেফতারের পাশাপাশি কয়েকটি জাল নথিপত্র-সহ বেআইনি কলসেন্টার পরিচালনের কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই তালিকায় উদ্ধার হয়েছে ১১ টি ল্যান্ড ফোন, ৬ টি মোবাইল, প্যানকার্ড ১, ডেবিট কার্ড ২। বিধাননগর সাইবার পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো কলসেন্টারের পিছনে রয়েছে অভিজিৎ বাগ ও সন্দীপ পাল নামক দুই পাণ্ডা। তাদের বিরুদ্ধে সুয়োমটো আইনে মামলা রুজু করে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ। অন্যদিকে, নিউটাউনের ওই একই বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় কলসেন্টার অফিসে পুলিশি হানায় ২ মহিলা সহ আরও ৫ কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছে। সেই তালিকায় ধৃতেরা হল প্রতাপ বিশ্বাস (২৩), অমিত বিশ্বাস (২৩), মুহাম্মদ সাদেকাত হোসেন (২৮), সাধন দাস (৫২), নীতিশ দাস (২০)। আর দুই মহিলা হল, শাবানা পারভীন (২৬) ও মৌমিতা পাল (২১)। এ ক্ষেত্রেও তদন্তকারীরা ভুয়ো কলসেন্টার থেকে জাল নথিপত্র-সহ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। এই চক্রের মূল পান্ডা প্রতাপ বিশ্বাস, রনী পাল ও রঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সুয়োমটো মামলা রুজু হয়েছে।