পুবের কলম প্রতিবেদক: আনিস খানের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও বিশিষ্ট মহল। আলিয়ার প্রাক্তন ছাত্র ও বিভিন্ন গণআন্দোলন নেতা আনিস খানকে রাজনৈতিকভাবে খুনের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার আলিয়ার পার্ক সার্কস ও তালতলা ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে। এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলার রানী রাসমণি রোডে উপস্থিত হন পড়ুয়া ও বিশিষ্টরা। এদিন আলিয়ার বহু পড়ুয়া উপস্থিত হন। এছাড়া মিছিলে অংশ নেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসার সমর্থকরা।
পাশাপাশি এসআইও’র সমর্থকরাও এদিনের মিছিলে উপস্থিত হন। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, যুব ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাশেমি, খোয়ায়ের আমীন মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের (এমএসইউ) সভাপতি সাজিদুর রহমান, এমএসইউ-এর সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মুহাম্মদ আব্বাসউদ্দিন, মুনসুর হাবিবুল্লা মীরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এদিকে এদিন উপস্থিত ছাত্রছাত্রী ও বিশিষ্টরা আনিস খানের খুনের পাশাপাশি রামপুরহাট গণহত্যায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
রানী রাসমণির সভায় মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আনিস খানের খুনের ঘটনায় সিট গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিল, ২০ দিনের মধ্যে দোষীদের চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু দেড় মাস অতিক্রম হলেও আনিস খানের খুনিদের চিহ্নিত করা গেল না। তাছাড়া আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। তাই সিটের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। সেই জন্য রামপুরহাট ঘটনার মতো আনিস খানের মামলা সিবিআইকে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।
উপস্থিত ছাত্র নেতা সাজিদুর রহমান বলেন, আলিয়ার ছাত্রছাত্রীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এখনও প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা গেল না। তিনি জানান, প্রতিবাদী পড়ুয়াদের চিহ্নিত করে তাদের উপর জুলুম করা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। ছাত্র সমাজ এই ঘটনা বরদাস্ত করবে না।
উপস্থিত ছাত্র নেতা মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা আনিস খানের খুনিদের প্রকৃত বিচার চাই। ছাত্রনেতা আব্বাসউদ্দিন বলেন, দোষীদের চিহ্নিত না করলে তাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এদিন ছাত্রনেতা মনসুর হাবিবুল্লা বলেন, আনিস খানের খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে সিটের উপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। এ’নও পর্যন্ত দোষীদের চিহ্নিত করা গেল না। মিছিলে উপস্থিত যাদপুরের পড়ুয়ারাও এদিন আনিস তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।