পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে কয়েকদিন ধরে যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে তোলপাড় সমস্ত ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম। পানিহাটি থেকে ঝালদা রিজেন্ট পার্ক থেকে তিলজলা রামপুরহাটে গত কয়েকদিনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে গুলি চলা এমনকী গণহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। কোথাও রক্ত ঝরেছে কোথাও ঝরে গিয়েছে একাধিক প্রাণ! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই নিয়ে একাধিক বিষয়ে মঙ্গলবার মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই একথা বলেছেন। বিজেপি আমাদের ভারতবর্ষে স্ট্রাকচারকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটাকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সবাইকে যারা ভারতকে ভালবাসি, আমাদের এককাট্টা হয়ে লড়াই করা উচিত। দলের থেকে বড় হচ্ছে দেশ, দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক আবহওয়াকে নষ্ট করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করি সবাই মিলে একসঙ্গে লড়াই করলে বিজেপিকে আমরা সরাতে পারব।
চমকে ধমকে আমাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। আমাকেও ডেকেছিল গিয়েছিল গ্রেফতারও করেছিল। আমরা যেহেতু বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাতান্ত্রিক বিরুদ্ধে লড়াই করি, আমাদেরকে তাই চমকাচ্ছে ইডির ভয় দেখিয়ে ভাবছে আমরা পায়ে ধরব আমরা পায়ে ধরব না।
বিজেপি তো চেষ্টা করছে মতুয়াদের টানতে, কিন্তু ওরা পারবে না, মতুয়াদের জন্য বিজেপি কিছু করেনি কারও জন্যই বিজেপি কিছু করেনি, বিজেপি যতই চেষ্টা করুক ওদের এখানে কোন অস্তিত্ব নেই।
এটা কোর্টের বিষয়। আমি কিছু বলব না, আমরা লড়াই করব বিজেপির বিরুদ্ধে, ভয় করব না, তাতে যা হয় হবে মৃত্যু হলে হাসিমুখে বরণ করব। সেদিন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ভয় পেলে স্বাধীন ভারত দেখতে পেতাম না, তাই স্বাধীন ভারতে যে অন্যায় হচ্ছে তার অবসান ঘটাব।
বিজেপি সাংসদদের ডেকে পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী মিটিং-এ যাবেন তারা আর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ফিরে আসবেন না।
এত বড় বাংলায় সাঁইবাড়ি, নেতাই নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর সব হয়েছে সরকার কি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? তাহলে তো সরকার ভগবান হয়ে যাবে, ক্রিমিনাল থাকবে কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে কোর্টে সামনে রেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে আর কেউ এই অন্যায় করবে না, এটাই আইন। এটাই আমাদের সরকার করছে।
ফিরহাদ বলেন, বাংলায় নারী নিরাপত্তা যথেষ্ট আছে, হাথরাসের মতো আমরা মানুষকে পুড়িয়ে দিই না, যারা দোষী তাদের আদালত শাস্তি দেবে। গুন্ডামি করে মানুষের মন পাওয়া যায় না। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলবে, পুলিশ আছে ব্যবস্থা করবে বনধ ব্যর্থ। এখন আর বাংলার মানুষ বনধের রাস্তায় যাচ্ছে না এই ধরনের কাজ করছে বলে কমিউনিস্ট পার্টি উঠে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন বালিগঞ্জে বিজেপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেন্ট্রাল ফোর্স ঘেরা বালিগঞ্জে তৃণমূল রেকর্ড ভোটে জিতবে।