পুবের কলম প্রতিবেদক : প্রতি পরিবার কত রেশন পাবে এবার তা জানানো হবে এসএমএস-এর মাধ্যমে। ফলে রেশনের পরিমাণ নিয়ে আর কোনও ধন্দ থাকবে না সাধারণের মনে। দুয়ারে রেশন বা ডিলারের কাছে গিয়ে যাতে কোনওভাবে না ঠকে যায় তার জন্যই এই পরিষেবা চলতি মাস থেকেই শুরু করল খাদ্য দফতর। যাঁদের মোবাইল নম্বর রেশন কার্ডের সঙ্গে নথিভুক্ত আছে তাঁরা প্রত্যেকেই এই এসএমএস পাবেন।
গত দু’বছর ধরেই মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর।
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তার মোবাইল নম্বর তাঁদের কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ে এসএমএসের মাধ্যমে তথ্য পাবেন। তার ফলে কোন জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকবে না বলেই মনে করছে রাজ্য খাদ্য দফতর। অন্যদিকে, প্রায় ৮ কোটি উপভোক্তার মোবাইল নম্বর রেজিস্টার করা এখনও বাকি আছে। দ্রুত এঁদের রেজিস্ট্রেশন সেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতর। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে জানানো হয়, কোনও ব্যক্তি যদি রেশন তুলতে যেতে সক্ষম না হন তাহলে ব্যক্তির রেশন কার্ড আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকলেও তিনি রেশন পাবেন। পাশাপাশি দুই ব্যক্তিকে নোমিনি করা যাবে। নোমিনি হওয়া ব্যক্তিরা ওই ব্যক্তির বদলে রেশন তুলতে পারবেন। সরকার ইতিমধ্যেই নোমিনি ফর্ম প্রকাশ করেছে।
এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দুই পাতার সেই নোমিনি ফর্মটি ভরে জমা দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে থাকছে কিছু শর্ত। যিনি নোমিনি করছেন সেই ব্যক্তির রেশন কার্ড আধারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক। যাঁকে নোমিনি করা হবে, তিনি যেন সংশ্লিষ্ট রেশন দোকানের কার্ডধারী হন। পরিবারের বাইরের কোনও ব্যক্তিকে নোমিনি করা হলে, তাঁর সঙ্গে নোমিনি করা ব্যক্তির পরিবারের কোনও সদস্যকে রেশন দোকানে আসতেই হবে। পরিবারের কেউ সেই ব্যক্তির সঙ্গে না এলে রেশন দেওয়া হবে না।