পুবের কলম প্রতিবেদক: এস এম সিরাজুল ইসলামের সম্পাদনায় ‘বুলবুল’ পত্রিকা প্রায় ৫৫ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই রবিবার কলকাতা বইমেলার প্রেস কর্নারে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশিত হল ‘বুলবুল’-এর বইমেলা সংখ্যা। একইসঙ্গে এ দিন বুলবুল প্রকাশনার বেশ কয়েকটি নতুন কবিতা, গল্প ও উপন্যাস প্রকাশিত হয়।
এ দিনের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম-এর সম্পাদক ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, ডা. প্রকাশ মল্লিক, সাহিত্যিক সিধ্যার্থ সিংহ, পাহাড়ী খান, অধ্যাপক সামিম ফিরদৌস, ড. তিন্নি রায়, সাংবাদিক গোলাম গউস প্রমুখ।
এ দিন আহমদ হাসান ইমরান বলেন, সময় পালটায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষও পালটায়। আজকাল আমাদের পাঠকও পালটেছে। আমাদের হাতে যে মোবাইল রয়েছে, তাতেই বেশিরভাগ পাঠক খরবের কাগজ পড়েন বা অন্যান্য জিনিস পড়া পছন্দ করেন। কোনও জিনিস জানতে হলে আগে আমরা বই পড়তাম, তাতে না পেলে ন্যাশনাল লাইব্রেরিও যেতাম। এখন ইন্টারনেটে অনেক তথ্য চলে আসে। তাই বই পড়ার নেশা অনেক মানুষের কেটে যাচ্ছে। কিন্তু আমি বলব- গুগল অনেক ভুল তথ্যও দেয় এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্য তুলে ধরে না। তাই আমি বলব- আজকের যুগেও বইয়ের কোনও বিকল্প নেই। আমাদের বই পড়তে হবে এবং বাঙালি যারা কবি বা সহিত্যিক আছেন তাঁদেরও লেখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
ইমরান আরও বলেন, আগে আমি যখন রাজধানী ট্রেনে কোথাও যেতাম, তখন দেখতাম কোনো মা তার বাচ্চাকে বইপড়া শেখাচ্ছেন। এখন আর সেই মা আর নেই। আজকাল হয়ত এগুলো কমে যাচ্ছে। আজকাল সকাল হলেই মায়েরা বাচ্চাকে রেডি করেন, তাকে নিয়ে কোনও ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে যেতে হবে।স্কুল থেকে ফিরে এসে বাচ্চারা খাওয়া-দাওয়া করল কিনা তা দেখা হয় না, শুরু হয় হোমওয়ার্ক। এই ধরনের একটা জীবন দেখা যাচ্ছে। এর মধ্য থেকেই আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে।
অন্যদিকে বুলবুল-এর সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবারের বইমেলায় তাঁর পত্রিকার বইমেলা সংখ্যার পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু বই প্রকাশিত হল। সাধারণ পাঠক ও লেখকদের সহযোগিতা তাঁর দীর্ঘ ৫৫ বছরের পথচলাকে মশৃন করেছে বলেও উল্লেখ করেন সিরাজুল ইসলাম। ডা. প্রকাশ মল্লিকও সাহিত্য সাধনা ও মানুষের জীবনের সম্পর্কের উপর আলোকপাত করেন। তিনি আরও বলেন, পা থাকলেই মানুষ হাঁটতে পারেন কিন্তু হাত থাকলেই সবাই কবি বা সাহিত্যিক হতে পারে না।