পুবের কলম প্রতিবেদকঃ রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা আবারও পার হল ২০০’র ঘর। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও– বেড়েছে মৃত্যু। কমছে না পজিটিভিটি রেটও। সংক্রমণের নিরিখে এগিয়ে সেই দক্ষিণবঙ্গ। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ কলকাতা ও লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা। এরপরেই রয়েছে হুগলি, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া। যা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের হার নিয়ে চিন্তিত ছিল রাজ্য প্রশাসন।
শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী– গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৫ জন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত ২০১ জন। সংক্রমণের নিরিখে এদিন দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে ১২৫ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। হুগলিতে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৪। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়াতে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত যথাক্রমে ৬১ ও ৫৪ জন। রাজ্যে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬ লক্ষ ৯ হাজার ১১৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ২.০১ শতাংশ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ হাজার ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে। বর্তমানে মৃত্যুর হার ১.২০ শতাংশ। তবে শুক্রবারের থেকে সামান্য বেড়েছে সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টাতেই যেমন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭৫ জন। যা শুক্রবারের চেয়ে কিছুটা কম। এ নিয়ে রাজ্যে মোট ১৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৯৭ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৩০শতাংশ। বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন ৮ হাজার ৪৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ হাজার ১১৭ জনের।
উল্লেখ্য, শহরে করোনা রোধে প্রথম থেকেই তৎপর কলকাতা পুরসভা। এই লক্ষ্যে শহরের বিভিন্ন স্থানে লালারস নমুনার সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। গতবছর থেকেই শুরু হয়েছিল বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে সোয়াব টেস্ট।
অন্যদিকে, এই অবস্থায় করোনা সংক্রমণের হার নিয়ে চিন্তিত ছিল রাজ্য প্রশাসন। কিছুদিন আগেই জেলাশাসকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেছিলেন, জেলায় জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করতে হবে কনটেনমেন্ট জোন।