০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গবেষণা করে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হতে চান সাইনাজ ফারজানা কাজী

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 45

(প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইনাজ ফারজানা কাজী)

পুবের কলম প্রতিবেদক: পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে আগামীতে গবেষণা করে অধ্যাপনার কাজ করতে চান সাইনাজ ফারজানা কাজী। সদ্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ইংরেজি বিভাগ থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়েছেন। প্রেসিডেন্সি থেকেই ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। বরাবরই স্কুলের প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হতেন সাইনাজ। তাঁর সাফল্য প্রসঙ্গে সাইনাজ কাজী জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্সিতে ভাল  ফল হয়েছে। আগামী দিনে গবেষণা করে সাহিত্যের অধ্যাপনা এবং গবেষণা চালিয়ে যেতে  চাই’।

হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৮৯ শতাংশ এবং হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড বিবেকানন্দ ভবন স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৮১.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০২৫ সালে স্কুলে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার অর্জন করেন সাইনাজ। প্রেসিডেন্সিতে  স্নাতকে তাঁর নম্বর ছিল ৭৩.৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে ৭৮.৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে  প্রথম হন। ইতিমধ্যে পিএইচডির জন্য তিনবার এনটিএ  পরিচালিত নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আইআইটিতে পিএইচডির জন্য গেট পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন তিনি।

সাইনাজ ফারজানার আব্বা কাজী সামসুল আলম হলদিয়ায় বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কর্মসূত্রে হলদিয়ার বাসুদেবপুরে থাকলেও পৈত্রিক বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার ভোগপুর গ্রামে। সাইনাজের মা কাজী সেলিমা বেগম বাড়িতেই থাকেন। সাইনাজের ছোট বোন মাধ্যমিকে পাঠরত। সাইনাজের আব্বা কাজী সামসুল আলম বলেন, মেয়ে বরাবরই স্কুলে প্রথম সারিতে স্থান করেছে। সব ক্লাসেই সাইনাজের রেজাল্ট ভালো। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিটেও  উত্তীর্ণ হয়েছিল। তবে ডাক্তারিতে পড়ার ইচ্ছা ছিল না  তার। সাইনাজের ইচ্ছা অ্যাকাডেমিতে থাকা। সেই দিকেই এ’ন এগোচ্ছে সাইনাজ। আমাদের ইচ্ছা, সাইনাজ বড় হয়ে কিছু করুক। সাইনাজের আব্বা আরও বলেন, এর আগে সাইনাজের সাফ্যল্যের ‘বর পুবের কলমে প্রকাশিত  হয়েছিল। সাইনাজের আব্বাও শিক্ষানুরাগী। পুবের কলমের ‘সীরাতুন নবী’ সংখ্যাতে সামসুল আলমের লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম শনিবার পুবের কলমকে বলেন, লেখাপড়া মন দিয়েই করত। মেধাবী ও অনুগত ছাত্রী। ওর সাফল্য কামনা করি। ভালো আগামীতে আরও ভাল করুক। এদিকে সাইনাজের সাফল্যে খুশি শিক্ষাব্রতীরা। তাঁর এই সাফল্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষাব্রতী মানুষজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের  বক্তব্য, বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী হয়েও কলকাতার খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া সাইনাজের এই অসাধারণ কৃতিত্বে কেবল পিছিয়েপড়া মুসলিম সমাজ নয়, গোটা বাঙালি জাতি গর্বিত ও অনুপ্রাণিত।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গবেষণা করে অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হতে চান সাইনাজ ফারজানা কাজী

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে আগামীতে গবেষণা করে অধ্যাপনার কাজ করতে চান সাইনাজ ফারজানা কাজী। সদ্য প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ইংরেজি বিভাগ থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়েছেন। প্রেসিডেন্সি থেকেই ইংরেজি অনার্স নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। বরাবরই স্কুলের প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হতেন সাইনাজ। তাঁর সাফল্য প্রসঙ্গে সাইনাজ কাজী জানিয়েছেন, ‘প্রেসিডেন্সিতে ভাল  ফল হয়েছে। আগামী দিনে গবেষণা করে সাহিত্যের অধ্যাপনা এবং গবেষণা চালিয়ে যেতে  চাই’।

হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড স্কুল থেকে মাধ্যমিকে ৮৯ শতাংশ এবং হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড বিবেকানন্দ ভবন স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৮১.৬ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০২৫ সালে স্কুলে স্টুডেন্ট অফ দ্যা ইয়ার অর্জন করেন সাইনাজ। প্রেসিডেন্সিতে  স্নাতকে তাঁর নম্বর ছিল ৭৩.৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে ৭৮.৮৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে  প্রথম হন। ইতিমধ্যে পিএইচডির জন্য তিনবার এনটিএ  পরিচালিত নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আইআইটিতে পিএইচডির জন্য গেট পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হন তিনি।

সাইনাজ ফারজানার আব্বা কাজী সামসুল আলম হলদিয়ায় বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। কর্মসূত্রে হলদিয়ার বাসুদেবপুরে থাকলেও পৈত্রিক বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানার ভোগপুর গ্রামে। সাইনাজের মা কাজী সেলিমা বেগম বাড়িতেই থাকেন। সাইনাজের ছোট বোন মাধ্যমিকে পাঠরত। সাইনাজের আব্বা কাজী সামসুল আলম বলেন, মেয়ে বরাবরই স্কুলে প্রথম সারিতে স্থান করেছে। সব ক্লাসেই সাইনাজের রেজাল্ট ভালো। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনার পর সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিটেও  উত্তীর্ণ হয়েছিল। তবে ডাক্তারিতে পড়ার ইচ্ছা ছিল না  তার। সাইনাজের ইচ্ছা অ্যাকাডেমিতে থাকা। সেই দিকেই এ’ন এগোচ্ছে সাইনাজ। আমাদের ইচ্ছা, সাইনাজ বড় হয়ে কিছু করুক। সাইনাজের আব্বা আরও বলেন, এর আগে সাইনাজের সাফ্যল্যের ‘বর পুবের কলমে প্রকাশিত  হয়েছিল। সাইনাজের আব্বাও শিক্ষানুরাগী। পুবের কলমের ‘সীরাতুন নবী’ সংখ্যাতে সামসুল আলমের লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম শনিবার পুবের কলমকে বলেন, লেখাপড়া মন দিয়েই করত। মেধাবী ও অনুগত ছাত্রী। ওর সাফল্য কামনা করি। ভালো আগামীতে আরও ভাল করুক। এদিকে সাইনাজের সাফল্যে খুশি শিক্ষাব্রতীরা। তাঁর এই সাফল্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষাব্রতী মানুষজন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের  বক্তব্য, বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী হয়েও কলকাতার খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া সাইনাজের এই অসাধারণ কৃতিত্বে কেবল পিছিয়েপড়া মুসলিম সমাজ নয়, গোটা বাঙালি জাতি গর্বিত ও অনুপ্রাণিত।