পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের উত্তাপের আঁচ যাতে কোনওভাবে বাংলায় অশান্তির আগুন ছড়াতে না পারে তার জন্য নবান্ন থেকে সতর্কবার্তা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন।
নবান্ন সূত্রে খবর, সাম্প্রদায়িক হিংসার (Communal violence) ঘটনা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata bondopadhyay)। রাজ্যের শীর্ষ স্তরের পুলিশকর্তাদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। সশস্ত্র বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবার দুর্গাপুজোর সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক কিছু বার্তা ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ফলে বাংলাদেশের (Bangladesh Communal violence ) পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। হিংসার ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশ প্রশাসন যদিও ঘটনার পর দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেয়। সেখানে পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে পড়শি দেশের এই অশান্তির আঁচ যাতে কোনভাবে এ রাজ্যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে তাই বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এডিজি ইন্টেলিজেন্স এবং ডিজি রেলকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে নবান্নের তরফে সর্তক করা হয়েছে।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এবং তার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে বিভিন্ন মেসেজে। এই অবস্থায় দুই দেশের সীমান্তবর্তীএলাকা গুলি স্পর্শকাতর হয়ে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে যে এই ঘটনাটির পর থেকেই বেশ কয়েকটি কট্টর গোষ্ঠী উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় কোনও ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে এমন কোনও ঘটনার আঁচ পাওয়ামাত্রই কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
নবান্নের (Nabanna) তরফে এমনও বলা হয়েছে যেহেতু ১৮ এবং ১৯ অক্টোবর রাজ্যের নবী দিবস রয়েছে। একই সঙ্গে দুর্গাপুজোর বিসর্জন চলছে, এই অবস্থায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা কোথাও না হয় সেদিকে সকলকেই নজর রাখতে হবে। রাজ্যের পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার, এসবি’র অতিরিক্ত সিপি, রাজ্যের সমস্ত পুলিশ সুপার, সব রেঞ্জের ডিআইজি ও আইজিপি, উত্তরবঙ্গের আইজি (আইবি), আঞ্চলিক আইজি, এডিজি, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা), রেলের ডিজিপি-কে এডিজি (আইবি)-র তরফে এই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। কারণ, বাংলাদেশে এই ধরনের গোলমালের রেশ ছড়িয়ে দুর্গাপুজোর সময় এ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমনিতেই পুজোর সময় নাশকতার শঙ্কা থাকায় একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। পুজোর মাঝেই বাংলাদেশের ঘটনা রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলার আশঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।