পুবেরকলম ওয়েবডেস্ক :এখনও বন্দি শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। কেবল বলি তারকা শাহরুখের পুত্র হওয়ার কারণেই আরিয়ানকে এমনভাবে বন্দিজীবন কাটাতে হচ্ছে।আগেই বলেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী মুকুল রহতগি।আরিয়ানকে আটকে রাখা নিয়ে শিবসেনার সিনিয়র এক নেতা সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিটিং বিচারপতি নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিক। শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে এইভাবে আটকে রাখা আসলে মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলে মন্তব্য করেন শিবসেনা নেতা কিশোর তিওয়ারি ।
সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার উল্লেখ করে শিবসেনা নেতা কিশোর তিওয়ারি বলেছেন অনুগ্রহ করে প্রধান বিচারপতি রামানা এটিকে ‘বিশেষ গুরুত্ব’ দিয়ে দেখুন।এনসিবির তৎপরতাকে তিনি ‘পক্ষপাতমূলক’ বলেও বর্ণনা করেছেন। শিবসেনা নেতার দাবি, আসলে এনসিবি গত ২ বছর ধরে ‘অশুভ উদ্দেশে ‘ চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিত্ব, মডেল ও সেলেবেদের ধরপাকড় শুরু করেছে।
সংবিধানের ৩২ ধারা অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ভঙ্গ হলে সুপ্রিম কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব হল মৌলিক আধিকার ভঙ্গের ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া। সংবিধানের তৃতীয় খণ্ডে মৌলিক আধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ সেই মৌলিক অধিকারকে নিয়ে বারবার রসিকতা করছে এনসিবি।
মুম্বইয়ের এনডিপিএস কোর্টে যে জামিনের আবদেন জানানো হবে তার উপায় নেই।কারণ ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি। ফলে আরিয়ান ও অন্যদের আটকে থাকতে হচ্ছে। আর্জিতে বলা হয়েছে অকারণে ১৭ টা রাত আরিয়ান এবং অন্যদের বেআইনি এবং অগণতান্ত্রিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে। মারাত্মক অপমানের শিকার হতে হচ্ছে তাদের। দেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রহতগি আরিয়ানের জামিন না পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘‘জামিনই নিয়ম, জেল ব্যতিক্রম। সুপ্রিম কোর্ট বহু দিন আগেই এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন ‘‘এটা সত্যিই বিচিত্র ব্যাপার যে, এক জন এত দিন ধরে জেলে রয়েছেন, অথচ তাঁর কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। ওঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়নি। তা হলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, মাদক নেওয়ার অভিযোগও দাঁড়াচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা, এই অপরাধের শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড। তা হলে কী ভাবে ওঁকে এত দিন ধরে জেলে রাখা যায়?’’
কিছু সেলেবকে অযথা নিশানা করছে এনসিবি এবং এর কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা’র অভিযোগ এনেছেন শিবসেনা নেতা তিওয়ারি। তিনি কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেও তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন শিবসেনা নেতা। ওয়াংখেড়ের স্ত্রী আবার জনপ্রিয় মারাঠী ফিল্মস্টার। অনেকে সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। তিওয়ারির অভিযোগ সে কারণেই অনেকে ফিল্মস্টারকে ধরপাকড় করা হচ্ছে।
সুপিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় শিবসেনা নেতা বলেন, ওয়াংখেড়ের স্ত্রী তাঁর স্বামীকে দিয়ে বলিউডের বড় বড় তারকাদের ধরার চেষ্টা করছেন। মূলত সেকারণেই বলিউডের বড় বড় তারকা, আন্তর্জাতিক মডেল, বড় প্রযোজক ও পরিচালকদের আতসকাঁচের নিচে রাখছে এনসিবি।
“সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবি। তদন্তটি ‘সম্পূর্ণরূপে ভুল পথে পরিচালিত হয়েছিল। ‘ তদন্ত করতে গিয়ে এনসিবি যেসব জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছিল মুম্বই পুলিশের তদন্তের সাপেক্ষে তাকে কথিত ‘ছোটখাটো তামাশা’ই বলা চলে।গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ৩ ০০০ কেজি মাদকের কথাও মামলায় উল্লেখ করেছেন তিওয়ারি।অনেকের অভিযোগ আদানীদের মুন্দ্রা বন্দর থেকে উদ্ধার হয় বিপুল মাদক থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা করেছে এনসিবি। যার খেসারত দিয়ে হয়েছে শাহরুখ পুত্রকে।