আবুল খায়েরঃ প্রতিষ্ঠার পর কেটে গেছে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়। অবশেষে মঙ্গলবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এল দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মূল্যায়ন সংস্থা ন্যাশানাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বা ন্যাকের প্রতিনিধি দল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ এই স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে আসেন ৬ জনের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলের চেয়ারপার্সন অন্ধ্রপ্রদেশের জওহরলাল নেহেরু টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ কুমার ভেলাঙ্কি, মেম্বার কো-অর্ডিনেটর ওড়িশার উৎকল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ডিরেক্টর ডঃসুস্মিত প্রসাদ পানি। এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে এসেছেন জওহরলাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ রাজীব কুমার, মহারষ্ট্রের মুম্বাই ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর (ইনচার্জ) ডঃ কিশোর সুখান্তকর, উত্তরপ্রদেশের তীর্থঙ্কর মহাবীর ইউনিভার্সিটির ডঃ রামকুমার গর্গ, কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটির সিনিয়র অধ্যাপক ডঃ মানজাইহ ডি এইচ।
ছ’জনের এই প্রতিনিধি দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন, প্রশাসন, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন অ্যান্টি র্যা গিং কমিটির সঙ্গে। লাইব্রেরিতেও যান। ন্যাকের পরিদর্শক দলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সময় সৌজন্য সাক্ষ্যৎ করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের সচিব পি বি সেলিম। উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক সাকিল আহমেদ এবং ওবাইদুর রহমান।
ন্যাকের প্রতিনিধি দলের পরিদর্শন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ পারভীন আলম বলেন, ‘আমরা খুব আশাবাদী। পরিদর্শক দল আজকে নিউটাউন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করছেন। আগামী দু’দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য দুটি ক্যাম্পাস পার্কসার্কাস এবং তালতলা পরিদর্শন করবেন।’ তিনি আরও বলেন ন্যাকের স্বীকৃতির পর গবেষণার পাশাপাশি, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চত্তর পড়াশুনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ফান্ড পেতেও সুবিধা হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হওয়া আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৭ অনুসারে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের শিক্ষা মানচিত্রে এক নয়া সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে। সেই সম্ভাবনার পালে নতুন জোয়ার আসে কি না সে দিকেই তাকিয়ে রাজ্যের শিক্ষানুরাগী সর্বস্তরের মানুষ।