বেইরুট, ৮ নভেম্বরঃ ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতলেই গাজা-লেবাননে ইসরাইলি হামলা বন্ধ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তার জয়ের খবর শুনে নেতানিয়াহু হামলার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লেবাননের বেকা উপত্যকা ও এর পশ্চিমে বালবেক শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এদিন সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতেও কয়েক দফা হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। গাজাতেও চলছে হামলা। সেখানেও ৩০ জনের কাছাকাছি নিহত হয়েছে। গত এক বছরের বেশি সময়ে সেখানে প্রায ৪৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞে। ট্রাম্পের আমলেও যে সেটার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না তা স্পষ্ট।
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর এক বছর ধরে লড়াই চলছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পরপরই ওই লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়। তবে গত সেপ্টেম্বর থেকে সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলা জোরদার করেছে। পাশাপাশি স্থল অভিযান চালাচ্ছে লেবানন সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে। হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনারা লেবাননের দক্ষিণের শহরতলিগুলো থেকে বাসিন্দাদের গতকাল সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বাড়িঘর ছাড়ার সুযোগ না দিয়ে ওই দিনই এলাকাগুলোয় হামলা চালান তাঁরা। গতকাল রাতে এক দফার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে আরেক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
Read More: ওয়াশিংটনে ট্রাম্প এলেও বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরবে নাঃ হুংকার ছাত্র-জনতার
লেবাননের আল জাদিদ টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ অন্তত চারটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে আজকের হামলায় এখনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাইম কাশেম বলেছেন, রাজনৈতিক কোনো পদক্ষেপ এই সংঘাতের অবসান ঘটাবে বলে মনে করেন না তিনি। ইসরায়েল হামলা চালানো বন্ধ করলে অন্তত আলাপ-আলোচনার পথ খুলতে পারে। এক বছর ধরে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ নিহত হয়েছেন গত ছয় সপ্তাহে।