পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘টিউবারকিউলেসিস’ বা যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ে ভারতের ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’। শুধু তাই নয়, ভারতকে সুপার হিরো বলেও উল্লেখ তাদের। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করে এই কথা জানিয়েছে ‘হু’।
রিপোর্টে ‘হু’ (who) জানিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে দেশে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে যক্ষ্মা। ২০১৫-২০২৩ সালে প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। যেখানে ২০১৫ সালে এক লক্ষ জনসংখ্যায় ২৩৭ জন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সেখানে ২০২৩ সালে সেটা কমে দাড়িয়েছে ১৯৫ তে ঠেকেছে। প্রায় ১৭.৭ শতাংশ হারে কমে দাঁড়িয়েছে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা। ২০২৪ সংখ্যাটা আরও কম। অন্যদিকে গোটা বিশ্বের যক্ষ্মা রোগীর হার যেখানে ৮.৩ শতাংশ কমেছে। সেখানে ভারতে যক্ষ্মা রোগীর হার দ্বিগুণেরও বেশি কমেছে।
READ: চলছিল সাফাইয়ের কাজ, কেরলে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ৪ শ্রমিক
শুধু তাই নয়, যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে ভারত সরকারের আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির প্রকল্পেরও প্রশংসা করেছে হু। এছাড়া ২০২৩ সালে ভারতে যক্ষ্মা বা টিবি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৭ লক্ষের কাছাকাছি। যার মধ্যে ২৫.১ লক্ষ মানুষের সফল চিকিৎসা হয়েছে। অন্যদিকে চলতি বছরে জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত দেশে ১৯ লক্ষের মতো যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ছিল। ফলসরূপ ২০১৫ সালে যেখানে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার হার ছিল ৭২ শতাংশ তা ২০২৩ সালে ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪-এ সংখ্যাটা আরও কমেছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, যেখানে যক্ষ্মা নিরাময়ে ২০১৫ সালে ৬৪০ কোটি বরাদ্দ করেছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা বাড়িয়েছে তারা।
যেমন ২০২২-২৩ সালে প্রায় ৩৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দরতর। সেপ্টেম্বর মাসে সরকার জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির অধীনে এমডিআর-টিবি-এর জন্য অভিনব চিকিৎসা বি-পাম পদ্ধতি চালু করার অনুমোদন দিয়েছে। টিবির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৫.৩ শতাংশ বাজেট বাড়িয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টেস্ট ও চিকিৎসার পাশাপাশি দেশ জুড়ে ১.৭ লক্ষ্য আয়ুষ্মান আরোগ্য মান্দির গঠন করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালও তাৎপর্যপূর্ণভাবে অংশ নিচ্ছে যক্ষ্মা নির্মূল লড়াইয়ে।
প্রসঙ্গত, রোগীর হার কমার পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমছে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাও। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে এক লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হত। যা এখন কমে ২২-এ নেমেছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ কমেছে মৃত্যু হার। হু-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর তা সোশাল মিডিয়া প্ল্যার্টফর্মে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জেপি নাড্ডা ।
তিনি লেখেন, যক্ষ্মা মুক্ত ভারত গড়তে আমরা অনেকটা সাফল্য অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রীর (prime minister) জন্য সব সম্ভব হয়েছে। রোগীদের সুষম খাবারের জন্য আগে যেখানে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত সেটা এখন হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির যোজনার কারণে ভারত বিশ্বদরবারে আজ প্রশংসিত হচ্ছে।