পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। শোকে পাথর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী’কে সহানুভূতি তো দূরের কথা তাঁকে দিয়েই পরিষ্কার করানো হল স্বামীর রক্তমাখা শয্যা! অমানবিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত ডিন্ডোরী জেলার লালপুর গ্রামে। ঘটনার পর থেকে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশ কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল ভিডিয়ো। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, মহিলা নিজেই তাঁর স্বামীর শয্যা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন।
READ MORE: ‘পাকিস্তান ফিরে যাও’ মন্তব্যে অস্ট্রেলিয়ান বিচারকের রোষানলের স্বীকার পলিন হ্যানসন
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম রামরাজ মারাভি (২৮)। এক দশকের পুরনো জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অধ্যুষিত ডিন্ডোরী জেলার লালপুর গ্রামে বড়সড় ঝামেলা বাঁধে। যার জেরে একই পরিবারের চারজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাবা ও এক ছেলের। অন্যদিকে শিবরাজ ও রামরাজ নামে দুজনকে গাড়াসরই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শিবরাজের। তাঁর স্ত্রী রোশনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গ ছাড়েননি তিনি। অভিযোগ, তার পরই যে বেডে শিবরাজ শুয়েছিলেন সেটি পরিষ্কার করতে বলা হয় রোশনিকে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, এক হাতে রক্তমাখা কাপড় ধরে আছেন মহিলা। অন্য হাতে টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করছেন হাসপাতালের শয্যা । তবে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়ার পরেই সোশ্যাল সাইটে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। যুবকের মৃত্যুর পর শয্যায় তাঁর রক্ত লেগে ছিল ঠিকই। কারণ তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী’কে কিছু পরিষ্কার করতে বলা হয়নি। বরং তিনি নিজেই একটি টিস্যু দিয়ে ওই রক্ত মুছতে চান। অত্যধিক রক্তক্ষরণে যে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে, তার প্রমাণ সংগ্রহ করতেই শয্যা পরিষ্কার করতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাঁরা জানিয়েছেন, মহিলা বা তাঁর পরিবারের তরফেও হাসপাতালে এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। পুরো ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে তারা।