কলকাতাSunday, 27 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সমঝতা নয়, রাজনৈতিক পরিপক্কতা: ডি-ওয়াই চন্দ্রচূড়

FAISAL HASAN
October 27, 2024 6:42 pm
Link Copied!

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একান্ত সাক্ষাৎ মানেই সমঝতা নয়। রাজনৈতিক পরিপক্কতা।

 

প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য প্রধান বিচারপতি ডি-ওয়াই চন্দ্রচূড়ের।  সম্প্রতি গণেশপুজো উপলক্ষে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে বেঁধেছিল বিতর্কের দানা।

 

সরব হয়েছিল বিরোধী দলনেতারাও।

 

তাদের দাবি, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ব্যক্তিগত পুজোতে প্রধানমন্ত্রীর  এভাবে পৌঁছে যাওয়ায় দেশবাসীর কাছে ভুল বার্তা যায়।  শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং একধাপ এগিয়ে প্রধান বিচারপতির দিকেও অঙ্গুলিহেলন করেছেন। এবার সেই ঘটনায় পরোক্ষভাবে মুখ খুললেন প্রধান বিচারপতি।

 

মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মারাঠি সংবাদপত্রের অনুষ্ঠানে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ও   সুপ্রিম কোর্ট ও কেন্দ্রীয় সরকারের পদাধিকারীদের সম্পর্ক একেবারেই আলাদা।

 

দুটো মেলাতে গেলে হবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হতেই থাকে।  কারণ ওনারাই বিচারব্যবস্থার বাজেট বরাদ্দ করেন। আর এই অর্থ বরাদ্দের বিষয়টা বিচারপতিদের জন্য নয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা উৎসবের মরসুমে সাক্ষাৎ করে থাকেন। কিন্তু এই সাক্ষাৎের সঙ্গে বিচারপ্রক্রিয়ার কোনও যোগ নেই,  সেটুকু বোঝার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। একান্তে দেখা মানেই সমঝোতা বা কোনও রাজনৈতিক ডিল পাক্কা হওয়া নয়।

 

আরও পড়ুনঃবান্দ্রা স্টেশনে ট্রেন ধরতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট ১০ জন যাত্রী

 

আমার কর্মজীবনে এমন কখনও ঘটেনি যে কোনও মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বিচারাধীন মামলা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বলাবাহুল্য, আগামী ১০ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের প্রধান  বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা। তার আগেই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন তিনি।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার অথবা শাসক দলের বহু মামলাই শীর্ষ আদালতে যায়। এখনও বহু মামলা বিচারাধীন।  এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতি এই সৌজন্য সাক্ষাৎ এড়িয়ে যাওয়ায় উচিত ছিল। মহারাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়েও সুপ্রিম কোর্টে একটি একটি মামলা চলছে । সুতরাং সেই  প্রেক্ষিতে যদি মহারাষ্ট্রবাসী দেখে যে প্রধান বিচারপতির রাড়ির গণেশ পুজোয় প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত এবং দু’জনে একসঙ্গে আরতি করছেন, সেটি জনসাধারণে ভুল বার্তা প্রদর্শন করবে।