পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ‘জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন’ (এনসিপিসিআর)-এর গালে বিরাশি সিক্কার থাপ্পড় সুপ্রিম কোর্টের। সরকারি মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল তারা। কিন্তু তাদের সেই ‘চক্রান্তে’ সোমবার যবনিকা টেনে দিল শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করে এনসিপিসিআর।
সরকারি মাদ্রাসাগুলিকে যে আর্থিক সাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় তা বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল তারা। গেরুয়া শিবিরের সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের অধীনস্থ এই সংস্থা (এনসিপিসিআর) বলেছিল, মাদ্রাসাগুলিতে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তা ‘সর্বাঙ্গীণ’ নয়।
আরও পড়ুন:নবান্নে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
এটি ২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইনকে লঙ্ঘন করে। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর কথায়, মাদ্রাসাগুলিতে পাঠরত শিশুরা মূল ধারার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাদের এমনভাবে পড়ানো হচ্ছে যে তারা যেন কিছু লোকের ঠিক করে দেওয়া পথেই পড়াশোনা করতে পারে। দেশের ৭-৮টি রাজ্যে মাদ্রাসা বোর্ড রয়েছে।
ওইসব বোর্ডের জন্য আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়া উচিত এবং বোর্ডগুলি ভেঙে দেওয়া উচিত। এইসব বোর্ড বন্ধ করে দিতে হবে।’
এনসিপিসিআরের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, শুধুমাত্র বোর্ড এবং একটি ইউডিআইএসই কোড থাকা মানেই মাদ্রাসাগুলি যে শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইন মানছে, এমনটা নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বলা হচ্ছে তারা যেন মাদ্রাসাগুলিকে কোনও সাহায্য না করে। এমনকী মুসলিম শিশুদেরও মাদ্রাসায় ভর্তি না করিয়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি করানো উচিত এবং মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
আরও পড়ুন:কাশ্মীরে গান্দেরবলে জঙ্গি হামলাকে কাপুরোষিত বলে তীব্র ধিক্কার ওমরের, নিন্দা শাহের
এনসিপিসিআরের এইসব প্রস্তাবের উপর সোমবার স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপিসিআরের সুপারিশের ভিত্তিতে ভিত্তিতে কেন্দ্র বা রাজ্য কোনও সরকারই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কোনও ধরনের পদক্ষেপ করতে পারবে না।
1 Comment
Pingback: ডলারমুক্ত লেনদেনে আসছে ‘ব্রিকস পে’ - PuberKalom.com