পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ মোদি শাসনে দেশে চরম দারিদ্র্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ‘পভার্টি প্রসপারিটি অ্যানডি প্ল্যানেটঃ পাথওয়েস আউট অফ দ্য পলিক্রাইসিস’- শীর্ষক এই রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য সমৃদ্ধির আড়লে দেশের নিদারুণ ভয়াবহতার চিত্র সামনে এল।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে প্রায় ১২৯ মিলিয়ন (১২ কোটি ৯০ লক্ষ) ভারতীয় চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। যা পূর্বের সমস্ত রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। এর পূর্বে ১৯৯০ সালে ভারতে চরম দারিদ্র্যে কাটানো মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৩১ মিলিয়ন (৪৩ কোটি ১০ লক্ষ)। তারপর ২০২৪ সালে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নীচে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানুষগুলি দৈনিক ২.১৫ মার্কিন ডলারের কম আয় করেন। ভারতীয় টাকায় যার পরিমাণ আনুমানিক ১৮১ টাকা। অন্যদিকে যদি দৈনিক ৬.৮৫ মার্কিন ডলার আয় করলে তাঁদের উচ্চতর দারিদ্রসীমা বলে ধরা হয়। ভারতীয় টাকায় যার পরিমাণ ৫৭৬ টাকা। রিপোর্টে উচ্চতর দারিদ্র্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিশ্বক্ষুধা সূচকে ভারত জায়গা বাংলাদেশ নেপাল শ্রীলঙ্কারও নীচে। মোদির পরিচালিত এনডিএ সরকার দেশের উন্নয়নের ঢক্কানিনাদ করলেও-আসলে তা যে চমক, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষের নিদারুণ দূর্বিষহ পরিস্থিতির কথাই উঠে আসছে এই রিপোর্টগুলিতে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য হ্রাসের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল তা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে। দারিদ্র্য দূরীকরণে ২০২০ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই এক দশক কার্যত ব্যর্থ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিন কাটানো মানুষের ভীড় বাড়ছে মূলতঃ সাহারা মরুভূমি সংলগ্ন আফ্রিকান দেশগুলিতে।