রামপুরহাট, ১২ নভেম্বরঃ কাজের প্রলোভন দিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আগেই দশ জন নাবালককে আটক করল রেল পুলিশ। তাদের সাঁইথিয়া জি আর পির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত্রে ১৫২২৮ ডাউন মুজফফরপুর– ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসের এস-১ কোচে দশ জন নাবালককে নিয়ে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছিল দুই যুবক। ‘বচপন বাঁচাও’ (নাবালক বাঁচাও) কমিটি এবং আরপিএফ যৌথভাবে পাকুড় স্টেশনে তল্লাশি চালিয়ে ওই নাবালকদের উদ্ধার করে। এরপর তাদের রামপুরহাট স্টেশনে নামিয়ে জিআরপির হাতে তুলে দেওয়া হয়। রামপুরহাট থেকে দশজনকে পাঠানো হয় সাঁইথিয়া জিআরপি থানায়। নাবালকদের ভিনরাজ্যে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। নাবালকদের পাঠানো হয়েছে বহরমপুরের একটি হোমে।
রামপুরহাট মহকুমা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী আলি মহিদুর জামান বলেন, “দেশ জুড়ে ‘নাবালক বাঁচাও’ অভিযান শুরু হয়েছে। আগাম খবর পেয়ে নাবালক বাঁচাও কমিটি এবং আরপিএফ পাকুড় থেকে ডাউন ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসে অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানেই দশ জন নাবালককে উদ্ধার করা হয়। আরপিএফ অফিসার সন্তোষ কুমার লিখিত ভাবে দশ নাবালককে সাঁইথিয়া জিআরপির হাতে তুলে দিয়েছে। উদ্ধার হওয়া দশ নাবালকের মধ্যে ছ’জন বিহারের পশ্চিম চম্পারন এবং চারজনের বাড়ি মালদা জেলায়। ধৃতরা হল, মহম্মদ আবদুল্লা এবং সঞ্জয় কুমার। আবদুল্লা মালদার বাসিন্দা। সঞ্জয় পশ্চিম চম্পারনের বাসিন্দা। দু’জনেই নাবালকদের ভিন রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। নাবালকদের কি উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তার তদন্ত করছে পুলিশ।”