পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘বাঁকড়া মোবারক হোসেন গার্লস স্কুল’-এ এক নতুন ছাত্রীর হিজাব বা ওড়না দিয়ে মাথা আবৃত করা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি সবার সঙ্গে কথা বলে তা সদ্ভাব ও প্রীতিপূর্ণ আবহে মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝুমা ঘোষ এর একটি সমাধান বের করেন। এ নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গেও প্রধান শিক্ষিকা ফোনে কথা বলেন।
‘বাঁকড়া মোবারক হোসেন গার্লস স্কুল’-এর ম্যানেজিং কমিটির প্রধান পুবের কলম-এর প্রতিবেদককে বলেন, সঠিক তথ্য না থাকায় ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল। আসলে স্কুলে হিজাব পরিধান বা পরিধান না করার উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না।
আমরা মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান সকলের বিশ্বাসকে সম্মান করি। কারও অনুভূতিতে কোনও আঘাত লাগুক, এটা যেমন আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না, ঠিক তেমনি আমরাও কোনও মতেই এটা চাই না।
উন্নত হজ্ব পরিষেবার বিষয়ে রবীন্দ্রতীর্থে সেমিনার নীলনদের
উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা বদলাল, প্রথম তিনে নতুন সংযোজন
শিক্ষক ও পড়ুয়াদের তথ্য জানতে নয়া পোর্টাল খুলছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ
সম্প্রীতির বাংলায় সকলকে সম্মান করে মিলেমিশে চলব, এটাই বাংলার ঐতিহ্য। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, স্কুলে যদি কেউ ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব পরিধান করে বা মাথা আবৃত করে আসতে চায়, তা ওই ছাত্রী করতে পারবে। আবার যদি কেউ হিজাব পরিধান না করে, সেক্ষেত্রেও আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
এই সিদ্ধান্তে অভিভাবকরা খুশি হয়েছেন বলে ম্যানেজিং কমিটির আর এক সদস্য পুবের কলম-কে জানিয়েছেন।
ওই ছাত্রীকে ফোন করা হলে সে বলে, আমি এবং আমার অভিভাবকরা স্কুল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে খুশি। এ জন্য আমি ম্যানেজিং কমিটিকে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি এই স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছি এবং সকলের দোয়া ও আর্শীবাদ পেলে আমি ইনশাল্লাহ একদিন ডাক্তারি পড়ব।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ঝুমা ঘোষও বলেন, আমি সব সময় চাই মাইনোরিটি মেয়েরা উন্নতি করুক। আর ‘বাঁকড়া মোবারক হোসেন গার্লস স্কুল’-এর শিক্ষার মান জেলার মধ্যে খুবই উন্নত। পরীক্ষার ফলাফলও নজরকাড়া। আমি আশাকরি, ভবিষ্যতে মোবারক হোসেন গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা আরও ভালো ফলাফল করবে।
সোমবার ওই ছাত্রীটি ঠিক সময়ে স্কুলে গিয়ে প্রার্থনায় সামিল হয়েছে এবং তারপর প্রতিটি ক্লাসে অংশ নিয়েছে।