Fri, September 20, 2024

ই-পেপার দেখুন

যৌন নিপীড়নের দায়ে সিআইএ কর্মকর্তার ৩০ বছরের জেল

ইমামা খাতুন

Published: 19 September, 2024, 07:19 PM
যৌন নিপীড়নের দায়ে সিআইএ কর্মকর্তার ৩০ বছরের জেল

নিউইয়র্ক, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ যৌন নিপীড়নের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক এক কর্মকর্তার ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্রায়ান জেফরি রেমন্ড নামে ওই আসামির সাজা ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। দুই ডজনেরও বেশি নারীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় অভিযুক্ত সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা ব্রায়ান জেফরি রেমন্ড।


বর্তমানে ৪৮ বছর বয়সি রেমন্ড মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন। চাকরিকালে বিভিন্ন দেশে দুই ডজনেরও বেশি নারীকে মাদক সেবন করিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন এবং ভুক্তভোগী নারীদের আপত্তিকর ছবিও তোলেন। আদালতে শুনানির সময় ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে যেসব বর্ণনা দিয়েছেন তা এক কথায় লোমহর্ষক। বাদীরা বলেছেন, তারা এমন একজন ব্যক্তি দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন যাকে সদয় ও শিক্ষিত মনে হতো এবং তিনি একটা প্রভাবশালী সংস্থার অংশ ছিলেন, যার কাজ ছিল বিশ্বকে মন্দ থেকে রক্ষা করা।


বিচারে ২০২৩ সালের নভেম্বরে যৌন নিপীড়ন এবং অন্যান্য অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রেমন্ড। প্রায় ১০ মাস পর তার রায় ঘোষণা করা হলো। জ্যেষ্ঠ বিচারক কলিন কোলার-কোটেলি তার মন্তব্যে বলেন, বলা যায় যে, তিনি একজন যৌন শিকারী। ডিস্ট্রিক্ট অফ কলাম্বিয়ার অ্যাটর্নি ম্যাটিউ গ্রেভস বলেন, রেমন্ড সরকারি কর্মচারী থাকাকালে নারীদের প্রলুব্ধ করে তার সরকারি বাসস্থানে আনতেন, মাদক সেবন করাতেন এবং তারপর তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। বিচার বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তা নিকোল আর্জেন্টিয়েরি বলেন, রেমন্ড ১৪ বছর ধরে কয়েক ডজন নারীকে যৌন নির্যাতন করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, রেমন্ডের সর্বশেষ পোস্টিং ছিল মেক্সিকো সিটিতে। সেখানে তিনি একাধিক নারীকে মাদকাসক্ত করে যৌন নির্যাতন করেন। 


২০২০ সালে মেক্সিকো সিটিতে এক নারী নিপীড়নের ঘটনায় ফেসে যান রেমন্ড। এক নারী তার হাত থেকে বাঁচতে নগ্ন অবস্থায় নিজ বাসভবনের বারান্দা থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন। এ ঘটনার পর ওই বছরের ৩১ মে রেমন্ডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।


তদন্তের স্বার্থে তথ্য দেওয়ার জন্য ২০২১ সালের অক্টোবরে সেখানকার জনসাধারণের কাছে আবেদন জানায় এফবিআই। তদন্তকালে রেমন্ডের ব্যবহৃত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায়। তা থেকে উদ্ধার করা হয় শত শত ছবি ও ভিডিও। যাতে অন্তত ২৪ জন অচেতন ও নগ্ন বা আংশিক নগ্ন নারীর ছবি দেখা যায়। 


তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে বহু বছর ধরে কাজ করেছেন। চাকরির সুবাদে পেরুসহ বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। এফবিআই জানিয়েছে, তিনি স্প্যানিশ ও ম্যান্ডারিন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।

 


Leave a comment