ঢাকা, ২৫ জুলাই: কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। ধ্বংসকারীদের রুখতে এবার জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, "আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না। সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।"
বৃহস্পতিবার সকালে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, "মেট্রোরেলে কী আমি চড়ব, শুধু কী সরকারি লোকজন চড়বে, শুধু কী মন্ত্রীরা চড়বে, না সাধারণ জনগণ চড়বে সেটা আমার প্রশ্ন? এর উপকারিতা কারা পাচ্ছে, এদেশের মানুষ, সাধারণ জনগণ পাচ্ছে। তাহলে এর উপর এতো ক্ষোভ কেন?" হাসিনার বক্তব্য, "যানজট থেকে রেহাই পেতে যে কষ্টটা আমি লাঘব করতে চেয়েছি সাধারণ জনগণের, সেই কষ্ট আবার যারা সৃষ্টি করল, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে, দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এর বিচার দেশবাসীকে করতে হবে। আমি তাদের কাছেই বিচার চাই।"
নেপালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ৬৫ জনের মধ্যে ৭ ভারতীয়, শোকপ্রকাশ দাহালের
কুয়েতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ইন্তেকাল
থাইল্যান্ডে মিলল এমপক্সে আক্রান্তের হদিশ, সংস্পর্শে আসা ৪৩ জনকে রাখা হল পর্যবেক্ষণে
মুজিব কন্যা আরও বলেন, "স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছিল, সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছিল মানুষদের। আধুনিক প্রযুক্তির পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।" দেশজুড়ে পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কোটা সংস্কার বাতিল চেয়ে আমাদের সরকারই মামলা করে। আমি তাদের ধর্য্য ধরতে বলেছিলাম। তাদের যেটা প্রত্যাশা, সেটাই পূরণ করা হবে। আমি এ আশ্বাস দিয়ে তাদের বলেছিলাম আন্দোলন থেকে বিরত থাকতে। কিন্তু তারা সেটা করল না।" পড়ুয়ারা যে দাবি করেছিল, তার চেয়ে বেশি আদালত দিয়ে দিয়েছেন। তারপরও এখনও তারা থামেনি, কেন থামিনি? পড়ুয়াদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা।