'আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদেরকে তুমি মৃত মনে করো না'... ইসমাইল হানিয়ার মনমুগ্ধকর কুরআন তিলাওয়াত ভাইরাল
কিশোরীদের এক- চতুর্থাংশই সঙ্গীর সহিংসতার শিকার!
রাখাইনে সংঘর্ষ, রোহিঙ্গারা ফের বাংলাদেশ সীমান্তে
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে বড় রায় দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তিযোদ্ধা কোটার হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি পড়ুয়াদের ক্লাসে ফিরে যেতে আবেদন জানানো হয়েছে। এ দিন কোটা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত।
রবিবার প্রায় তিনঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। তারপরই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এ দিন সরকারের লিভ টু আপিলের শুনানি হয়। সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর দুপুর দেড়টায় রায় দেওয়া হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দেশ জুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ চলেছে। পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার রাত থেকে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করতে হয়েছে। হিংসাত্মক এই আন্দোলনের বলি হয়েছেন ১৫১ জন ব্যক্তি।
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার জন্য পাঁচজন আইনজীবীকে অনুমতি দেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে অংশ নেওয়া নয়জন আইনজীবীর মধ্যে আটজনই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করার পক্ষে মত দেন। একজন আইনজীবী কোটা সংস্কারের পক্ষে মতামত দেন।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে-
কোটায় সংরক্ষিত আসন ৫৬ % থেকে কমে ৭% হয়ে গেছে।
বাকি ৯৩% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।
এখন নতুন কোটার বিন্যাস হয়েছে :-
মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের (পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার দ্বারা ধ*র্ষিতা নারী) সন্তানদের কোটা ৩০% থেকে কমে ৫% হয়েছে।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা (চাকমা, মারমা, গারো, খাসি, সাঁওতাল ইত্যাদি) ৫% থেকে কমে ১% হয়েছে।
প্রতিবন্ধী কোটা আগে ১% ছিল। এখন প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ মিলিয়ে ১% হয়েছে।
নারী কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।
আগে ১০% ছিল।
পিছিয়ে পড়া জেলার কোটা সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।
আগে ১০% ছিল।