দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : আলোচনা ছাড়া ন্যায় সংহিতা চালু: শুভ বলে মনে করি না বললেন, অমর্ত্য সেন, পাশাপাশি কটাক্ষ করলেন ভারতের অর্থনীতি ও শিক্ষা নীতি নিয়েও। এদিন ভারত বর্ষে বেকার সমস্যা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ফরাসি সাহিত্যর দুই নগরীর গল্প থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার শান্তিনিকেতনে প্রতীচীতে থেকে অমর্ত্য সেন বললেন, "ইট ওয়াজ দ্য বেস্ট অফ অফ টাইম ট্যু সাম এণ্ড ওয়ার্স্ট অফ টাইম ফর মেনি মেনি..."।
এদিন প্রতীচী ট্রাস্ট আয়োজিত "কেন স্কুলে যাই, সহযোগিতার সহজপাঠ" আলোচনায় নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন সহ রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাঁ দ্রেজ ছাড়াও অংশ গ্রহণ করেন শিক্ষককূল সহ অন্যান্যরা। অমর্ত্য বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কেন্দ্র সরকার একেবারেই করতে পারছেন না। বলা হয়, দেশের অর্থনীতির প্রগতি হচ্ছে। ঠিকই, অনেকের হচ্ছে। বহুলোকের রোজগার বেড়েছে। গড় আয় বেড়েছে। তা বলে বহু লোকের অবস্থা কমে গেছে। কেন ইউরোপে, জাপানে, কোরিয়া ও চিনে আসে নি। কারণ শুধু একক দূরত্বে দাঁড়িয়ে চাকরি ব্যবস্থা হবে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবহারে নজর দেওয়া উচিৎ। স্বাস্থ্যবান শিক্ষিতরাই চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। এটা মানতে হবে। শিক্ষার হাত ধরে স্বাস্থ্যর উন্নতি হতে পারে। আমার ধারণা নয় যে কোনভাবে ভারতবর্ষের উন্নতি হবে, যদি না শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অমর্ত্য বলেন, "ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র হওয়া আঁটকানো গেছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে বলবো উল্টোটা। খানিকটা আঁটকানো গেছে। পুরোপুরি না। তবে যতটা আঁটকানো গেছে, তাতে নির্বাচনের ফলাফলে প্রতিফলিত আমরা দেখতে পাচ্ছি। তবে ভারত বর্ষে শিক্ষার উন্নতি হয় নি। বেকার সমস্যা প্রধান কারণ। "
বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে চার্জসিট দাখিল করল সিবিআই
হানিয়াকে হত্যায় এজেন্ট ভাড়া করেছিল মোসাদ!
Big Breaking: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ হাসিনার
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতি প্রসঙ্গে অমর্ত্য বলেন, যেগুলো আছে সেগুলো সরানোর কারণ। একইভাবে সদ্য আইন হওয়া ন্যায় সংহিতা প্রসঙ্গেও অমর্ত্য বলেন, "সংবিধান বদলাতে হলে নানা দিক থেকে আলোচনা উচিৎ ছিল। মনিপুরে, মধ্যপ্রদেশে যা হয়েছে। সেগুলো আলোচনা হওয়া উচিৎ ছিল। আলোচনা না করে এই আইন শুভ বলে মনে করি না।"
তবে চিনের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির পার্থক্যের কথা বলে ভারত সরকারের সমালোচনা করলেও, এদিন তিনি ভারতে গণতন্ত্রের প্রশংসা করেন। এই লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে তা প্রমাণিত।