দুর্নীতিতে সিদ্দারামাইয়ার নাম বলাতে চাপ, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইডির বিরুদ্ধে মামলা
বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী 'অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪' পেশ হল বিধানসভায়
নিঃসঙ্গতা যখন ভয়াবহ! জাপানে ছয়মাসে বাড়িতে একাকীত্বে ৪০ হাজার বৃদ্ধের মৃত্যু, নিখোঁজ আরও বহু
পুবের কলম প্রতিবেদক: এপার বাংলার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় রেমাল দাপট দেখাল ওপার বাংলাতেও। লন্ডভন্ড করে দিল পদ্মাপার। বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলাগুলিতে রবিবার থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই ঝড়ের গতিবেগও বাড়তে শুরু করেছিল। সোমবার তা চরম আকার নিল। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের দাপটে খুলনা থেকে সাতক্ষীরা বিপর্যস্ত বেশিরভাগ এলাকা। পাশাপাশি জোয়ারের জলে একাধিক নীচু অঞ্চলগুলি প্লাবিত হয়ে পড়ে। নাগাড়ে বৃষ্টি আর জোয়ারের জলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওপার বাংলার বাসিন্দারা।
বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা বিডি নিউজ সূত্রে জানা গেছে, এক শিশু ও এক মহিলা-সহ মোট দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বিবৃত করে বিডি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। গাছ উপরে পড়া সহ-জলোচ্ছ্বাস, দেওয়াল ধসে এবং ত্রাণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে সংশ্লিষ্টদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ৩৫ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষের বেশি। দেশের ১৯টি জেলা রেমালের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, আগের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও জল জমে আছে বহু জায়গায়। মাছের ভেড়ি এবং প্রচুর গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মহিববুর রহমান বলেন, উপকূলবর্তী এলাকায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আর তাতে আশ্রয় নিয়েছেন ৮ লক্ষেরও বেশি মানুষ। নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে ৫২ হাজারের বেশি গবাদি পশুকে। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্তদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪০০ মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। দুর্গতদের জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাড়ে ৫ হাজার টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, শিশুদের খাবারের জন্য দেড় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।